দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে হতাশাজনক পারফরম্যান্স পরিলক্ষিত হয়েছে। এ সময়ে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ৩ শতাংশ পয়েন্ট হারিয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের প্রায় ৮৩ শতাংশেরই দাম কমেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) আড়াই শতাংশের বেশি সূচক কমেছে। সূচক কমলেও দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৬৮৭ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক ৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৯৮৫ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ২১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৩৯৪টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৫৭টির, কমেছে ৩২৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১০টির দর। গত সপ্তাহে সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, সিটি ব্যাংক, রেনাটা, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস ও ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার। এ কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরপতনে সূচক কমেছে ৭১ পয়েন্ট। ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৫৫৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে ছিল ৪৭৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ দশমিক ৯ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ দখলে নিয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। ১২ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৭ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। আর ব্যাংক খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পাট ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত বাদে বাকি সব খাতেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ৮ দশমিক ১ শতাংশ, জীবন বীমায় ৭ দশমিক ১ শতাংশ ও সিরামিক খাতে ৬ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন ছিল। এছাড়া ৫ শতাংশের বেশি নেতিবাচক রিটার্ন ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, বস্ত্র, চামড়া, সেবা ও আবাসন এবং সাধারণ বীমার শেয়ারে। অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে ১৫ হাজার ৮১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৬ হাজার ২৪৪ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ কমে ৯ হাজার ৫২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ৯ হাজার ৭৬৬ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে (২১-২৫ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১০ কোম্পানির সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- প্রাইম ব্যাংক, ওরিয়ন ইনফিউশন, ফাইন ফুডস, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, লাভেলো আইস্ক্রিম,
তালিকাভুক্ত বহুজাতিক বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের পর্ষদ সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর আগে কোম্পানিটি ৩৩০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ
চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সিঙ্গার বাংলাদেশের বিক্রি বেড়েছে ৭ শতাংশেরও বেশি। যদিও এ সময়ে কোম্পানিটিকে লোকসান গুনতে হয়েছে। মূলত বিভিন্ন ধরনের ব্যয়
আজ ২৫ এপ্রিল সূচকের পাশাপাশি টাকার অংকে লেনদেন কমেছে দেশের শেয়ারবাজারের এসএমই মার্কেটে। এদিন সূচকের পতনে লেনদেন শুরু হয়। পরবর্তীতে সূচকের স্বাভাবিক উঠানামার মধ্য দিয়ে লেনদেন হতে দেখা যায়। দিনশেষে
বেশ কয়েকদিন ধরে পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। টানা এমন পতন ঠেকাতে নানা রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তারপরও কিছুতেই কিছু হচেছ না। আজ
শেয়ার দর কমার সীমা বেঁধে দেওয়ার পর আজ সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শেয়ারবাজারে পতন আরও বড় হয়েছে। আগের দিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছিল
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬৯টির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে এডিএন টেলিকম লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩০০টির দর কমেছে। আজ সবচেয়ে বেশি দর কমেছে আইপিডি ফাইন্যান্সের। ডিএসই সূত্রে