পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক পিএলসির পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি কোম্পানিটির নিরীক্ষিত আর্থিক
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসির সার্ভিলেন্স রেটিং দীর্ঘমেয়াদে ট্রিপল এ ও স্বল্পমেয়াদে এসটি-ওয়ান। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কাগজ ও মুদ্রণ খাতের কোম্পানি বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) মুনাফা কমেছে ২০ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ২৬ পয়সা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুসারে, গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৮ টাকা ২৭ পয়সায়। সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা করেছে বসুন্ধরা পেপার মিলস পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৯২ পয়সা। ৩০ জুন শেষে কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৭৭ টাকা ৫৪ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৭৪ টাকা ৩১ পয়সা। কোম্পানিটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ ওয়ান’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। এ বছরের ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংক দায় ও রেটিং প্রকাশের দিন পর্যন্ত কোম্পানিটির অন্যান্য প্রাসঙ্গিক গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বসুন্ধরা পেপার মিলসের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৭৩ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ১৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৭ কোটি ৩৭ লাখ ৯১ হাজার ৪৪১। এর মধ্যে ৭০ দশমিক ৮৬ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ২১ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
লেনদেন বেড়েছে ২৮ শতাংশ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স টানা ১১ সপ্তাহ পর গত সপ্তাহে ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরেছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ২৮ শতাংশ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেরও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, সর্বশেষ গত জানুয়ারির বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ইতিবাচক ছিল। এর পর থেকে এটি নিম্নমুখী। তবে গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৬১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে। এছাড়া গত সপ্তাহে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৯৭৫ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ২৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ২১৭ পয়েন্টে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪১২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২২৮টির, কমেছে ১৩৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির দর। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১৭টির। গত সপ্তাহে সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ন্যাশনাল ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার। ডিএসইতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ৭০৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে ছিল ৫৫৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ২৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২ হাজার ৮২৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৪ দশমিক ১ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ২ শতাংশ দখলে নিয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। ১১ দশমিক ৯ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্য খাত। মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৮ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। আর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ইতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল জীবন বীমা, ভ্রমণ ও বস্ত্র। এ তিন খাতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ৬ দশমিক ৯, ৬ দশমিক ৯ ও ৪ শতাংশ। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে কেবল মিউচুয়াল ফান্ড ও প্রকৌশল খাতে। এ দুই খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ২ দশমিক ৪ ও দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে ১৫ হাজার ৮১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে ৯ হাজার ৬৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বেসরকারি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের নেতৃত্বে কৌশলগত পরিবর্তন এনেছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ। এতে সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের (এসওএসসিএল) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করা হয়েছে জাফর
বিদায়ী সপ্তাহে (২৮ এপ্রিল থেকে ০২ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্য সূচকের উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন ও বাজার মূলধন। আলোচ্যে সপ্তাহে ডিএসইর বাজার
এপ্রিল মাসের ২৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের শীর্ষে উঠে এসেছে শেয়ারবাজারের তিনব্যাংক। যেগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক ও স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে
সপ্তাহজুড়ে (২৮ এপ্রিল-০২ মে) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২৯ কোম্পানি ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলো হলো- এবি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এসবিএসি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, সাউথইস্ট
বিদায়ী সপ্তাহে (২৮ এপ্রিল-০২ মে) ডিএসইর ( ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) পিই রেশিও (সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত) বেড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইর পিই রেশিও ৬.৫৯ শতাংশ বা দশমিক ০.৬৮ পয়েন্ট বেড়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে (২৮ এপ্রিল-০২ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে ১৬ খাতে। একই সময়ে টাকার অংকে লেনদেন কমেছে ৫ খাতে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা