বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৬৫.৫৬ পয়েন্ট হারিয়েছে। তবে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২.১৯ শতাংশ। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধনে নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
ডিএসই থেকে এ তথ্য জানা যায় ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮১৪ কোটি ৬৬ লাখ ১২ হাজার টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৭৩৩ কোটি ৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৫১ কোটি ৫৭ লাখ ১৬ হাজার টাকার বা ২.১৯ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।
ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ১৬৫ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪১ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৭০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে কমেছে ডিএসই৩০ সূচক। আলোচিত সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৫ দশমিক ৭৪.৪৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে ২ হাজার ৫১১ পয়েন্টে উঠেছে।
অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩৮.৬৬ পয়েন্ট বা ২.৬৪ শতাংশ কমেছে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮১টির, কমেছে ২৯৫টির। আর ৫টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
অন্যদিকে ডিএসইতে বাজার মূলধনেও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ১২ হাজার ৩৩২ কোটি ৫৩ লাখ ১২ হাজার টাকা বা ২.২৪ শতাংশ বাজার মূলধন কমেছে।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৫১ হাজার ৫৯০ কোটি ৭৯ লাখ ২৯ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৩৯ হাজার ২৫৮ কোটি ২৬ লাখ ১৭ হাজার টাকায়।