পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের ২০২০-২১ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব অসঙ্গতি পেয়েছে নিরীক্ষক। যেখানে স্থায়ী সম্পদের সঠিক মূল্য ও গ্রাচ্যুইটি ফান্ড নিয়ে অসঙ্গতি রয়েছে। এছাড়া মুন্নু গ্রুপের আরও দুই কোম্পানি মুন্নু অ্যাগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারিজ ও মুন্নু ফেব্রিক্সের ন্যায় মুন্নু সিরামিকেও শ্রমিকদেরকে তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, মুন্নু সিরামিকস কর্তৃপক্ষ ২০১১ সালে স্থায়ী সম্পদ পূণ:মূল্যায়ন করেছে। এরপরে আর করেনি। যাতে করে কোম্পানিটির স্থায়ী সম্পদের প্রকৃত দর কি, তা বোঝা যাচ্ছে না।
মুন্নু সিরামিকে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডে (ডব্লিউপিপিএফ) ১ কোটি ৬০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা রয়েছে। এরমধ্যে আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) ১ কোটি ৫৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা অন্তর্ভূক্ত আছে।
কিন্তু ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ফান্ড বিতরনের বিধান রয়েছে। কিন্তু ওই ফান্ড কর্মীদের মধ্যে বিতরন না করে তাদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন মুন্নু সিরামিক কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ওই ফান্ড ব্যবহারের বিপরীতে কোন সুদ হিসাব করছে না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, মুন্নু সিরামিক কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের ৩০ জুন গ্রাচ্যুইটি হিসাবে বিলম্বিত দায় (ডেফার্ড লায়াবিলিটিজ) দেখিয়েছে ৯৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এ সংক্রান্ত সঞ্চিতি গঠন করা হয়েছিল ২০০৭ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু এরপরেও সঞ্চিতি গঠন না করা হলেও সমন্বয় করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মুন্নু সিরামিকের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৪২.৪২ শতাংশ। কোম্পানিটির মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১১৫.৬০ টাকায়।