পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য পরোক্ষ সুখবর দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ঋণের সুদ হার না কামালে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) অর্থ পাবে না ব্যাংকগুলো। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রজ্ঞাপন জারির মধ্যে দিয়ে ব্যাংকগুলোকে সুদহার কমাতে চাপ দিয়েছে অর্থমন্ত্রানালয়। যা পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তারা বলেন, স্বাভাবিক ভাবে ব্যাংকের সুদ হার কমলে একটু ঝুঁকি গ্রহণের সাহস রয়েছে এমন বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে। যা পুঁজিবাজারের মূলধন ও লেনদেনে বৈচিত্র আনতে পারে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে , ঋণের সুদ ৯ শতাংশ নামিয়ে না আনতে পারলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখন থেকে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) অর্থ পাবে না। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এডিপি’র অর্থ আমানত হিসেবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৬ শতাংশ সুদে গচ্ছিত রাখে।
এখন নতুন নিয়মে যে সকল ব্যাংক বিগত ২০১৮ সালের ২ আগস্ট প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে তারা এ সুবিধা পাবে না বলে রোববার (১৯ মে) আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জারি এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এডিপি’র আওতায় সরকার থেকে প্রাপ্ত তহবিল এবং সরকারি, আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়িত্তশাসিত সংস্থার মোট নিজস্ব তহবিলের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকিং ব্যবসায় নিয়োজিত সকল ব্যাংকে অথবা এ বিভাগ কর্তৃক বর্ণিত অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (এনবিএফআই) অথবা উভয় ধরণের প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্পেশাল নোটিশ ডেপোজিট (এসএনডি), সঞ্চয়ী হিসাব স্থায়ী আমানত (এফডিআর) এ সর্ব্বোচ্চ ৬ শতাংশ হারে আমানত রাখা যাবে। তবে যে সকল ব্যাংক বিগত ২/৫/২০১৮ তারিখে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে তারা এ সুবিধা প্রাপ্য হবে না বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ মে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে ব্যাংক মালিকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনবেন। কিন্তু সরকারি ব্যাংক ছাড়া অধিকাংশ ব্যাংক এ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।