দেশের অর্থনীতির সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের পুঁজিবাজারও এগিয়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ তৈরি হওয়ায় বাজারে দিনদিন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর আগমন ঘটছে। এরুপ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা আজ বাজারে নতুন-নতুন পণ্যের খোঁজ করছে। তাই বন্ড মার্কেটকে সক্রিয় করতে আমাদের ব্যক্তি-প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কাজ করতে হবে। বন্ডের প্রতি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শরীফ আনোয়ার হোসেন।
বৃহস্পতিবার ( ৯ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃক আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল প্লাটফর্ম “ইনভেস্টমেন্ট ইন ডেট সিকিউরিটিজঃ প্রসেসেস অ্যান্ড প্রসপেক্টস” শীর্ষক ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি উন্নত, আধুনিক ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়তে হলে পণ্যের উপস্থিতি, পণ্যের আধিক্য ও পণ্যের বৈচিত্রতা থাকা একান্ত আবশ্যক। বাজারে পণ্যের আধিক্য ও বৈচিত্রতা থাকলে নতুন-নতুন বিনিয়োগকারীর আগমন ঘটে। ফলে বাজার বিনিয়োগ সমৃদ্ধ হয়ে সকল পক্ষ লাভবান হয়। আমাদের বাজার দীর্ঘদিন থেকে প্রায় ইক্যুইটি নির্ভর। শুধুমাত্র একমূখী পণ্যের উপর ভর করে পুঁজিবাজারকে তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে নেয়া অসম্ভব।
এছাড়া বিএসইসি’র কমিশনার মো. আবদুল হালিম বলেন, ভবিষ্যতে দেশের বন্ড মার্কেট আরও অনেক বেশি গতিশীল হবে। বন্ড মার্কেটের জন্য ২০১২ সালে যে পলিসি ছিল তা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। পরবর্তীর্তে সকলের সাথে আলোচনা করে ২০২১ সালে নতুন ডেট ইস্যু রুলস করা হয়। কমিশন পলিসিটি এমনভাবে করেছে যাতে দেশের যে কোনো খাতের উন্নয়নের জন্য বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যায়। শুধু বন্ড ইস্যু করলেই হবে না এর বিপরীতে ডিমান্ড ক্রিয়েট করতে হবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের ওয়েবিনার তখনই সফল হবে যখন বিনিয়োগকারীরা বন্ড মার্কেট সম্পর্কে আরও বেশি আগ্রহী হবে। এখান থেকে কোনো ফিডব্যাক থাকলে কমিশন তা মূল্যায়ন করবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিএসই’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসই’র লিস্টিং ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার মো. রবিউল ইসলাম। মূল প্রবন্ধে তিনি ডেট সিকিউরিটিজের রুলস ও রেগুলেশনস, ডেট সিকিউরিটিজের প্রোডাক্টসমূহ, অফার টাইপ, রূপান্তরের প্রক্রিয়া ও বিতরণ, পার্পিচ্যুয়াল বন্ডের ফিচার, বিনিয়োগ পদ্ধতি, ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজির সুবিধা ও বিএসইসি’র ডিরেক্টিভ সম্পর্কেূ আলোকপাত করেন।
এ সময় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের এমডি ও সিইও তানজিম আলমগীর, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সিইও খন্দকার রায়হান আলী, এফসিএ এবং সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস এর সিইও শিবলী আরমান।