টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া আলুর দাম নতুন করে আরও বেড়েছে। কোনও কোনও বাজারে কেজি প্রতি আলু ৩৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে ৩০ শতাংশের ওপরে বেড়েছে আলুর দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলু এমন একটি পণ্য যার চাহিদা সারা বছর থাকে। কিন্তু বছরব্যাপী চাষ হয় না। আলু এখন আর চাষিদের কাছে নেই। সব মজুতদারদের কাছে চলে গেছে। এসব মজুতদারদের ওপরই এখন আলুর দাম নির্ভর করছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। এ কারণে দাম বাড়ছে।
বুধবার (৮ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সুত্রে জানা গেছে, মানভেদে গোল আলুর কেজি ৩০ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা দুদিন আগেও আলুর কেজি ২৭ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে ছিল। আর রোজার ঈদের আগে ১৮ থেকে ২২ টাকা কেজি বিক্রি হয় আলু।
একই মানের আলু বাজারভেদে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যে মানের গোল আলু মালিবাগ হাজীপাড়ায় ৩২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, তা রামপুরা বাজারে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। কোনো কোনো ব্যবসায়ী ৩৭ টাকা কেজিও বিক্রি করছেন। একই চিত্র দেখা যায় খিলগাঁও তালতলা ও মালিবাগ বাজারে।
এ প্রসঙ্গে হাজীপাড়ার এক আলু ব্যবসায়ী বলেন, হুট করে আলুর দাম বেড়ে গেছে। গতকাল দুই বস্তা আলু এনেছি। এ আলুর দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেশি পড়েছে। আগের আনা আলু পরশুদিনও ২৭ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আড়ত থেকে বেশি দামে কেনায় এখন সেই মানের আলু ৩২ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাজারে ভরপুর নতুন আলু থাকলে দাম কম থাকে। এরপর আস্তে আস্তে আলু মজুতেরি দিকে চলে গেলে দাম বেড়ে যায়। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার আলুর দাম তাড়াতাড়ি বেড়েছে এবং দাম বৃদ্ধির হার বেশি।
খিলগাঁওয়ের এক আলু বিক্রেতা বলেন, আড়তে দাম বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগের তুলনায় প্রতি কেজি আলু ৩-৪ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ফলে আমরাও দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছি। এখন যে আলু ৩৭ টাকা কেজি বিক্রি করেছি, দুদিন আগেও তা ৩২ টাকায় বিক্রি করেছি।