প্রত্যেকের জন্যই ঘুম প্রয়োজনীয়। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে এবং পরেরদিনের কাজ ঠিকভাবে সম্পন্ন করতে নিশ্চিন্ত ও নির্বিঘ্ন ঘুম জরুরি। গবেষকরা বলেছেন, দিনের বেলায় মস্তিষ্ক যত খাটানো হবে এর কার্যক্ষমতা বাড়াতে তত বেশি ঘুম দরকার হবে।
‘জটিল’ মস্তিষ্কের কার্যকলাপের জন্য পুরুষের চেয়ে নারীর বেশি ঘুম দরকার। এক গবেষণায় যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা এ তথ্য পেয়েছেন। গবেষকেরা বলছেন, পুরুষের চেয়ে নারীর অন্তত ২০ মিনিট বেশি ঘুমানো দরকার। কারণ দিনের বেলা মেয়েদের মস্তিষ্ক বেশি কাজ করে। এমনটাই প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
এ গবেষণায় নমুনা হিসেবে মধ্যবয়সী ২১০ জন নারী ও পুরুষকে নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের লাভবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লিপ রিসার্চ সেন্টারের গবেষক জিম হর্নি। তিনি বলেন, ‘ঘুমের একটি প্রধান কাজ হচ্ছে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধার ও স্মৃতি মেরামত করা।’
কর্টেক্স নামের মস্তিষ্কের চিন্তা ধরে রাখা, ভাষা মনে রাখার জন্য কার্যকর অংশটি ঘুমের সময় মানুষের বোধ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পুনরুদ্ধার অবস্থায় চলে যায়। দিনের জটিল কাজ ও মস্তিষ্কের কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে ঘুম দরকারি হয়ে পড়ে।
গবেষক হর্নি বলেন, দিনের বেলায় মস্তিষ্ক যত খাটানো হবে এর কার্যক্ষমতা বাড়াতে তত বেশি ঘুম দরকার হবে। নারী একসঙ্গে সাবলীলভাবে একাধিক কাজ করেন এবং পুরুষের তুলনায় মস্তিষ্ক খাটিয়ে এসব কাজ সুষ্ঠুভাবে করেন বলেই তাদের ঘুম বেশি দরকার।
গড়ে ২০ মিনিট বেশি ঘুম দরকার হলেও কিছু নারীর ক্ষেত্রে তা কমবেশি হতে পারে। গবেষকেরা বলেন, পুরুষের ক্ষেত্রে যারা মস্তিষ্ক খাটিয়ে বেশি কাজ করেন, তাদের অন্যদের তুলনায় বেশি ঘুম দরকার।
গবেষকেরা বলেন, যেসব নারী কম ঘুমান তাদের ক্ষেত্রে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যেমন মানসিক অবসাদ, বিষণ্নতা। যারা কম ঘুমান তাদের দ্রুত রেগে যেতেও দেখা যায়।
বাংলার কন্ঠ/০৬ জুলাই, ২০২০/এ এইচ