পুঁজিবাজারে লেনদেনে আসা বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দর ৩১ টাকা ৯০ পয়সায় শুরু হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বেলা ১১টা পর্যন্ত কোম্পানিটির ২৬ হাজার ১টি শেয়ার ২০ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির ৮ লাখ ২৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে
বৃহস্পতিবার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের লেনদেন‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত হয়ে শুরু হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড হচ্ছে- “BPPL” এবং কোম্পানি কোড হচ্ছে – ১৫৩২৪।
কোম্পানিটির আইপিওতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার ১৪ জুলাই শেয়ারধারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ জুলাই আবেদনকারীদের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়। এতে একজন আবেদনকারী সর্বনিম্ন ৫৪টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে।
কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদনকারী সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০ হাজার টাকার বিপরীতে ৫৪টি করে এবং প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০ হাজার টাকার বিপরীতে ১২৮টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে।
১৩ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়। এর আগে কোম্পানিটির কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিডিং (নিলাম) অনুষ্ঠিত হয়। বিডিংয়ে কোম্পানিটির কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করা হয় ৩২ টাকা।
গত ৫ জানুয়ারি শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫৫তম সভায় কোম্পানিটিকে বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। যা তার সাবসিডিয়ারি কর্ণফুলী পাওয়ার ও বারাকা শিকলবাহা পাওয়ারে বিনিয়োগ, আংশিক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওজনিত ব্যয়ে ব্যবহার করা হবে।
কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরে সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৩৭ পয়সা। আর বিগত পাঁচটি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩ টাকা ৩০ পয়সা।
২০২০ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকায়। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস।