প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) নীতিমালায় নতুন শর্ত আরোপ হওয়ায় জুন মাসে বন্ধ হয়ে গেল এক লাখ ৩০ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিও অ্যাকাউন্ট আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
ব্রোকারেজ হাউস সূত্রে জানা গেছে, এখনও কিছু ব্রোকারেজ হাউস বিশেষ ব্যবস্থায় সচল রেখেছেন বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্ট। এটা সাধারণত জুলাইয়ের ১৫ তারিখ পর্যন্ত রাখা হয়। ফলে এ সময়ের পর বাতিল বিওর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
আইপিও শেয়ার পেতে সেকেন্ডারি মার্কেটে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে এমন শর্তের কারণে বেশিরভাগ বিও বাতিল হয়েছে। কারণ যারা দুই এর অধিক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেন তাদের সিংহভাগের প্রতিটি বিও’র বিপরীতে ২০ হাজার টাকা নেই। মূলত সে কারণেই তারা অ্যাকাউন্ট নবায়ন করেননি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছে, সবার জন্য আইপিওর শেয়ার পাওয়ার নীতি খুব ভালো সিদ্ধান্ত। এতে সব বিনিয়োগকারী উপকৃত হচ্ছেন। যে বিওগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, তা অপ্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্ট। কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ ভিন্ন ভিন্ন নামে এসব বিও খুলেছেন। তাদের জন্য যারা প্রকৃত বিনিয়োগকারী, তারা আইপিওর শেয়ার পান না। তাই সবার জন্য আইপিও শেয়ার বরাদ্দ হয়েছে তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাই উপকৃত হয়েছেন।
সিডিবিএল থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিদায়ী বছরের শেষে পুঁজিবাজারে মোট বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ২৮ হাজার ৭৭০টি। মে মাসের শুরুতে যা ছিল ২৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮১৭টি। অর্থাৎ, এ সময়ের মধ্য বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে এক লাখ ৩০ হাজার চারটি। এর মধ্যে পুরুষ বিও হিসাব ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০। আর নারী বিওধারীর সংখ্যা ছয় লাখ ৫০ হাজার ১১৬টি। বাকি অ্যাকাউন্টগুলো কোম্পানির।