বাসায় ১০ বছর ধরে ওয়ালটনের ফ্রিজ ব্যবহার করছেন মুদি দোকানদার মাজেদুল ইসলাম। ভালো সার্ভিস দিচ্ছে সেটি। তার মুদি দোকানে একটি ফ্রিজ দরকার ছিলো। এ জন্য ওয়ালটনই তার ভরসা। দামে সাশ্রয়ী ও উন্নত মানের হওয়ায় সম্প্রতি ওয়ালটন শোরুম থেকে ফ্রিজ কিনেছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১১ এর আওতায় ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন নীলফামারীর মাজেদুল। ফ্রিজ কিনে এক সঙ্গে ১০ লাখ টাকা পাওয়ায় আনন্দে আত্মহারা তার পরিবার।
এর আগে এই সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন আড়াইহাজারের পোশাক শ্রমিক সেলিম মিয়া ও রাজবাড়ীর দর্জি হানিফ সরদার।
উল্লেখ্য, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে চলছে ওয়ালটনের ‘মেগা ঈদ ফেস্টিভ্যাল’। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় মেগা ঈদ ফেস্টিভ্যালে ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, ফ্যান, গ্যাস স্টোভ ও রাইস কুকার ক্রেতাদের জন্য রয়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স বাজারের সবচেয়ে বড় সুযোগ। এখন ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া, পণ্যভেদে আছে ফ্রি ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন, কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারসহ অসংখ্য সুবিধা।
শনিবার (১৯ জুন, ২০২১), নীলফামারী জেলার জলঢাকা ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে মাজেদুলের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। ওয়ালটনের পক্ষ থেকে চেক হস্তান্তর করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা সাইমন সাদিক। সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইসতিয়াক ভুঁইয়া, জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু এবং ওয়ালটনের এরিয়া ম্যানেজার সালেহ আহমেদসহ আরও অনেকে।
ক্রেতা মাজেদুলের বাড়ী উত্তর চেরেংগায়। ১ ছেলে ও ২ মেয়েসহ ৫ সদস্যের পরিবার তার। মাজেদুল জানান, ৫ বছর ধরে মুদি দোকানের আয়েই চলছিলো সংসার। সম্প্রতি শস্য মজুদের ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। ওয়ালটন থেকে পাওয়া ১০ লাখ টাকায় ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা করবেন।
সাইমন সাদিক বলেন, ‘ওয়ালটন আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠান। দেশের চাহিদা মিটিয়ে তারা পণ্য রপ্তানি করছে ৪০টি দেশে। ওয়ালটনই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা এক সঙ্গে এতো টাকা ক্রেতাদের দেওয়ার সামর্থ রাখে। ওয়ালটন ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে না আজকের অনুষ্ঠানই তার প্রমাণ। ওয়ালটন কথা দিয়ে কথা রাখছে। ওয়ালটন আমাদের গর্ব।’ তিনি প্রত্যাশা করেন ক্রেতারা ওয়ালটন থেকেই ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনবেন।
সহকারী কমিশনার ইসতিয়াক ভুঁইয়া বলেন, ‘ওয়ালটন আমাদের দেশের গর্ব। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে তারা। আমার বাসায় ওয়ালটনের টিভি ও ফ্রিজ ব্যবহার করছি। এর মান অনেক উন্নত। দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ালটনের কাছে আমরা সবাই ঋণী।’
জানা গেছে, কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে বিক্রয়োত্তর সেবা অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এ পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল ও বারকোডসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে পণ্য কেনায় মিলিয়নিয়ার হওয়াসহ বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের প্রায় দুইশত মডেলের রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও বেভারেজ কুলার। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সম্প্রতি ২৭টি নতুন মডেলের ফ্রিজ উন্মোচন করেছে ওয়ালটন। একইসঙ্গে ডিজাইন ও ফিচার আপডেট করা আরও অর্ধশতাধিক মডেলের ফ্রিজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে ছেড়েছে তারা। আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরনো ফ্রিজ বদলে ওয়ালটনের নতুন ডিপ ফ্রিজ কেনার সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহক। ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারাদেশে ওয়ালটনের রয়েছে ৭৬টি সার্ভিস সেন্টার।