গত বছরের শেষভাগ থেকে পুঁজিবাজার তরতর করে এগুচ্ছে। স্বাভাবিক গতিতে ম্যাচুরিটি নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়ায় নতুন নতুন বিনিয়োগকারীরা বাজারে আসছেন। তবে অধিকাংশ নতুন বিনিয়োগকারী না জেনেশুনে বিনিয়োগ করেন। ফলে লোকসান খেয়ে ফের বাজার বিমুখ হয়ে পড়েন। এজন্য বিনিয়োগকারীদের আগে জানতে হবে শেয়ারে বিনিয়োগের কিছু খুঁটিনাটি বিষয়।
কীভাবে শেয়ারে বিনিয়োগ করে মুনাফা করা যায়। এজন্য বেশি পড়াশুনার দরকার নেই। তবে বুঝতে হবে কোম্পানির প্রোফাইল। কোম্পানির বর্তমান অবস্থা কী। সামনে কী আরো ভালো হবে, না খারাপের দিকে যাবে।
পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তাদের পুঁজিকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করেন। বিপাকে পড়ে স্বল্প পুঁজির বিনিয়োগকারীরা। তবে স্বল্প পুঁজির বিনিয়োগকারীরাও যদি কিছু বিষয় নজরধারিতে রাখতে পারেন এবং বিনিয়োগ কৌশলে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হন, তাহলে বাজার থেকে তারাও ভালো মুনাফা সংগ্রহ করতে পারেন।
মুনাফা তোলার উপায়গুলো
১. ব্যবসায়ী না হয়ে বিনিয়োগকারী হোন।
২. কখনো সর্ট টার্মে বিনিয়োগ করবেন না। কমপক্ষে ৩০-৯০ কার্যদিবসের বিনিয়োগ করুন।
৩. আপট্রেন্ড শেয়ার পরিহার করুন। সব সময় বটম বা বটমের কাছাকাছি প্রাইজে এনট্রি দিন।
৪. আপট্রেন্ড শেয়ারে বিনিয়োগ করলে স্টপ লসের কথা মাথায় রাখুন।
৫. স্বল্প ও মাঝারি মুলধনের ফানডামেনটাল শেয়ারে বিনিয়োগ করুন। বড় হাতি জাতীয় শেয়ার পরিহার করুন।
৬. মাঝে মাঝে কিছু প্রফিট টেক করুন। তবে সব শেয়ার নিয়ে একদম টপ প্রাইজ পর্যন্ত যাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার পোর্টফোলিও দ্রুত বাড়বে।
৭. বাজারের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রাখুন। পাবলিক সেন্টিমেন্ট অবজার করার চেষ্টা করুন।
৮. এনট্রি দেয়ার আগে ভালো ভাবে পর্যাবেক্ষন/ পর্যালোচনা করে নিন, কোথায় এনট্রি দিচ্ছেন? কেন এনট্রি দিচ্ছেন?
৯. এনট্রি দেয়ার পর ভয় পেয়ে, চিন্তা ভাবনা করে লাভ নেই। কনফিডেন্ট থাকুন।
১০. ধৈর্য ধারণ করার অভ্যাশ করুন। শেয়ারবাজারে ধৈর্যের কোন বিকল্প নেই। “এখানে অধৈর্যদের টাকা, ধৈর্যদের পকেটে যায়”।
১১. বিশৃঙ্খল ট্রেড পরিহার করুন। খুব কম ট্রেড করুন। বেশি বেশি ট্রেড করলে ভুল হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।
১২. নিউজ, রিউমার, উড়ো খবরের উপর নির্ভরশীল হবেন না। এগুলো শতকরা ৮০% ক্ষেত্রে আপনাকে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করবে।
১৩. শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। একজন সফল বিনিয়োগকারী হতে হলে কোম্পানির তথ্য সর্ম্পকে আপডেটেড থাকতে হবে।