বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ডিজিটালাইজেশন দূরহ কাজকে সবার কাছে সহজে পৌছে দিতে পারে। যে কারনে আমাদের মৌলিক আকাঙ্খা শেয়ারবাজারের ডিজিটালাইজেশন। শেয়ারবাজারের জন্য যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই ডিজিটালাইজেশনকে পৌছে দিতে চাই।
মঙ্গলবার (০৮ জুন) আনুপাতিক হারে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার জন্য ইলেকট্রনিক্স সাবস্ক্রিপশন সিষ্টেমের (ইএসএস) উদ্ভোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে অংশগ্রহন করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মতিন পাটোয়ারি ও ডিবিএ সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসাইনসহ অন্যান্যরা।
সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, কমিশন শুরু থেকেই ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের ইএসএস উদ্ভোধন। এটা নিসন্দেহে বড় অর্জন। যা অর্জন করা সহজ ছিল না।
তিনি বলেন, এখন দেশের ১০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এমতাবস্থায় আমরা যদি শেয়ারবাজারকে পুরো ডিজিটালাইজেশন করতে পারি, তাহলে অংশগ্রহন বাড়বে। এতে করে শেয়ারবাজারের আকার বাড়বে।
আগে সফটওয়্যার তৈরী মানেই বিদেশের কথা মাথায় এলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই জানিয়ে বিএসইসি কমিশনার বলেন, এখন নিজেদের অনেক সক্ষমতা বেড়েছে। নিজেরাই সফটওয়্যার তৈরী করতে পারি। তারপরেও পুরো শেয়ারবাজার যে সফটওয়্যার বা ডিজিটালাইজেশন নির্ভর হয়ে গেছে, তা না। এখনো অনেকটা সার্ভেইল্যান্স ও মনিটরিংয়ে মূলত সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
শেখ সামসুদ্দিন বলেন, সফটওয়্যার তৈরীর পাশাপাশি যারা এটা ব্যবহার করবে, তাদের জন্য উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় সফটওয়্যার তৈরী কাজে আসবে না। প্রয়োজনে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে ইএসএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার প্রক্রিয়াটি তুলে ধরেন ডিএসইর লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মো. রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, এই সফটওয়্যারের ফলে এখন আর কেউ দেশে থেকে এনআরবি কোটায় আবেদন করতে পারবেন না। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ কোটার না হয়েও ক্ষতিগ্রস্থ কোটায় ও লিঙ্কট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একাধিক আবেদন করতে পারবেন না। এসব করতে গেলেই সফটওয়্যারে ধরা পড়ে যাবে।