এসএমডব্লিউ-ফাইভ সাবমেরিন কেবলের কোর কেবলের পশ্চিম অংশে নিজেদের জন্য বরাদ্দকৃত ২৩.৭–১০০ জিবিপিএস ক্যাপাসিটি থেকে সৌদি আরবের ইয়ানবু থেকে ফ্রান্সের মার্সেই পিওপি পর্যন্ত ৬–১০০ জিবিপিএসের সমপরিমাণ ক্যাপাসিটি সৌদি টেলিকমের কাছে হস্তান্তরে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিটি গতকাল এ চুক্তির বিষয়টি জানিয়েছে।
চুক্তি অনুসারে এককালীন ৩৬ লাখ ডলার মূল্যে এ ক্যাপাসিটি হস্তান্তর করবে বিএসসিসিএল। হস্তান্তর সম্পন্ন হওয়ার পর উল্লিখিত ক্যাপাসিটির পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় সৌদি টেলিকমকে বহন করতে হবে। ফলে এ ক্যাপাসিটির জন্য বিএসসিসিএলকে অর্থ ব্যয় করতে হবে না। এতে এসএমডব্লিউ-ফাইভ সাবমেরিন কেবলের পেছনে কোম্পানিটির পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় আনুপাতিক হারে কমে যাবে।
চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিএসসিসিএলের ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৩৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ২৬ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৩০ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিএসসিসিএল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৮০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৫৫ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪০ টাকা ৯৩ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৮ টাকা ৭৪ পয়সা।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল বিএসসিসিএল। ২০১৮ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল শেয়ারটির সর্বশেষ দর ছিল ১৭২ টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৭৭ টাকা ৫০ পয়সা ও ১৮৯ টাকা ৭০ পয়সা।
রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো কোম্পানিটি ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে সরকার ৭৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ, প্রতিষ্ঠান ১২ দশমিক ৬৬, বিদেশী বিনিয়োগকারী ২ দশমিক ৬৮ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।