গত বছর করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অন্য খাতের শেয়ারদর টানা কমতে থাকে। তবে এ সময় ব্যতিক্রম ছিল বিমা খাত। করোনাকালে প্রথম দিকে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে দেখা যায় এসব শেয়ারদর। পরবর্তীকালে কয়েক দিন বিমা খাতের কোম্পানির শেয়ার চাহিদা কমে গেলেও সম্প্রতি আবার চালকের আসনে ফিরেছে খাতটি।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রতিদিনই বাড়ছে বিমা খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। চাহিদা থাকায় প্রতিনিয়ত দর বৃদ্ধির শীর্ষে আসছে এ খাতের কোম্পানি। গতকালও এর ব্যতিক্রম দেখা যায়নি। গতকাল বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ছিল এ খাতের শেয়ার, যার জের ধরে দিন শেষে এ খাতে তালিকাভুক্ত ৫০ কোম্পানির মধ্যে মাত্র চারটি কোম্পানির শেয়ারদর কমতে থাকে।
এদিকে গতকালও মোট লেনদেনে এগিয়ে ছিল খাতটি। দিন শেষে লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ৩৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল বিবিধ খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অংশগ্রহণ দেখা যায় ১৯ শতাংশ। এছাড়া মোট লেনদেনে ১১ শতাংশের বেশি অবদান রাখে ওষুধ ও রসায়ন খাত।
অন্যদিকে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বৃদ্ধি পায় ৩৮ পয়েন্ট। সূচকের অবস্থান হয় পাঁচ হাজার ৪৬১ পয়েন্ট। একইভাবে গতকাল ডিএসইতে মোট ৯৪০ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়।
এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৮৭ কোটি টাকা। গতকাল এ মার্কেটে মোট ২৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। কোম্পানিগুলোর মধ্যে মোট এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫৭৮টি শেয়ার ৬১ বার হাত বদল হয়।
প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২৮ কোটি ৭০ লাখ ৯৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকার ব্র্যাক ব্যাংকের ও তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ৪৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের।
এছাড়া ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১০ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার টাকা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ছয় কোটি ৪৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ও বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লসের দুই কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। বেক্সিমকোর ৬৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা, বিবিএস কেব্লসের পাঁচ লাখ ও বিডি ফাইন্যান্সের ছয় লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। একইভাবে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কনফিডেন্স সিমেন্টের ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকা, ঢাকা ডাইংয়ের ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ডিবিএইচেবর ৮৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
অন্যদিকে, গতকাল ব্লক মার্কেটে গ্রামীণফোনের এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা, আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সাত লাখ ২১ হাজার টাকা ও লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ২২ লাখ ২২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। নর্দার্ন জুটের পাঁচ লাখ টাকা ও ওরিয়ন ইনফিউশনের পাঁচ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হতে দেখা যায়।