কঠোর লকডাউনের মধ্যেও পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেনে উত্থান প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার এবং দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। কিন্তু সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধির মধ্যেও উভয়দিন বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার উত্থানে থাকলে সাধারণত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ে। কিন্তু গত দুদিন বাজারে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। দুদিনই বাজার উত্থানে রয়েছে, অথচ বেশিরভাগ কোম্পানির দর পতন প্রবণতায় রযেছে। এর অর্থ হলো, উত্থানের বাজারে বড় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাই করার চেয়ে বেশি সেল করছেন। যে কারণে বাজার উত্থান প্রবণতায় থাকলেও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারে পতন হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেন উভয়ই বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে সাড়ে ১৮ পয়েন্ট। আর আগেরদিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ৯৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। কিন্তু সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধির পরও আজ বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আজ ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৪৬টি কোম্পানির। এর মধ্যে দর কমেছে ১৫২টির, বেড়েছে ১২৬টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৮টির।
অন্যদিকে, (রোববার) ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছিল ২১ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছির আগের দিনের চেয়ে ৪৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বেশি। কিন্তু সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধির পরও গতকাল বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছিল ৩৪৮টি কোম্পানির। এর মধ্যে দর কমেছিল ১৬৫টির, দর বেড়েছিল ১০৩টির এবং দর অপরিবর্তিত ছিল ৮০টির।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে এখন নানা গুঞ্জন ছড়ানো হচ্ছে। বিনা কারণে শেয়ার দর তুঙ্গে তোলা হচ্ছে। তারপর নানা কৌশল অবলম্বন করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সেসব শেয়ারে আকৃষ্ট করা হচ্ছে। অস্থির বাজারে বিনিয়োগকারীদের সাবধান হতে হবে; চিন্তা-ভাবনা করে তাদের বিনিয়োগ করতে হবে। অন্যথার বড় লোকসানের মুখে পড়তে হতে পারে তাদের।
তাঁরা আরো বলেন, লকডাউনে পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে-এটা অবশ্যই ইতিবাচক দিক। কিন্তু ঊর্ধ্বমুখী বাজারে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমাটা মোটেও ইতিবাচক নয়। এর পেছনে বড় বিনিয়োগকারীদের অশনি হাত রয়েছে। তারা বাজার ইতিবাচক রাখার আবহ তৈরি করে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাদের সেল প্রেসারের কারণে ঊর্ধ্বমুখী বাজারেও বেশিরভাগ শেয়ার পতনে রয়েছে।