ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া ৬৬ কোম্পানির দর উঠা-নামায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার নতুন নির্দেশনা পতন ঠেকাতে পারেনি পুঁজিবাজারের। গত বৃহস্পতিবারের মতো আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববারও পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। দুদিনের উপর্যুপরি বড় দরপতনে বিনিয়োগকারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এর আগে ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার পর বৃহস্পতিবার বড় পতন হয় পুঁজিবাজারে। কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর তীব্র আপত্তি জানায় বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের সেই আপত্তির কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সিদ্ধান্ত কিছুটা পরিবর্তন করে শনিবার কোম্পানিগুলোর শেয়ার পতনের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করে। এতেও শেষ রক্ষা হয়নি। অর্থাৎ রোববার (১১ এপ্রিল) ব্যাপক পতন হয় পুঁজিবাজারে।
এর আগে ১ মাস বা তার কম সময়ে ৫০ শতাংশ উত্থান-পতন হওয়া কোম্পানির তদন্তের সিদ্ধান্ত ও পরে প্রত্যাহারের কারণে বাজারে পতন হয়েছিল।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯০.০৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৬৪.৬৯ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২০.০৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৭.৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৭৭.৬১ পয়েন্টে এবং ১৯৫২.৯১ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ৪৫৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৭৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার।
ডিএসইতে আজ ৩৪০টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ২৪টির বা ৭.০৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ২৬৪টির বা ৭৭.৬৫ শতাংশের এবং বাকি ৫২টির বা ১৫.২৯ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২২৩.৩৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭.৬৬ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ১৯২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪১টির আর ২০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।