ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া ৬৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়া-কমার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শনিবার (১০ এপ্রিল) বিএসইসি থেকে এই সংক্রাস্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, ওই ৬৬টি কোম্পানির শেয়ার এক দিনে সর্বোচ্চ কমতে পারবে ২ শতাংশ। তবে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আগের মতোই ১০ শতাংশ সীমা বহাল রয়েছে।
জানা গেছে, ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহের পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা ফ্লোর প্রাইস পুনর্বহালের দাবি জানায়। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৬৬টি কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম বাড়া-কমার সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা ৬৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া দাম কমার সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন সিদ্ধান্তে মানবন্ধন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।
এ বিষয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিএসইসির নতুন এ সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এরই ধরাবাহিকতায় আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে লোকসান থেকে রক্ষা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।’
প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল বিএসইসির ৭৬৯তম কমিশন সভায় ৬৬টি কোম্পানির শেয়ারের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর ৮ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর করা হয়। ফলে গত বুধবার পর্যন্ত শেয়ারবাজারে ১১০টি কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে ছিল। বৃহস্পতিবার ৬৬টি কোম্পানির শেয়ারের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এখনো ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস বহাল রয়েছে।