কঠোর লকাউনেও খোলা থাকবে ব্যাংকের লেনদেন। চালু থাকবে দেশের পুঁজিবাজার। তবে লেনদেনের সময়সীমা কী হবে তা নির্ভর করবে ব্যাংকে লেনদেনের জন্য সময়সূচী কী নির্ধারণ করা হচ্ছে তার উপর। ব্যাংক লেনদেনের সময়ের চেয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় কিছুটা কম হতে পারে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে সর্বাত্মক বা কঠোর লকডাউন শুরু হতে পারে। এই সময়ে জরুরি সেবা সংক্রান্ত অফিস ছাড়া বাকী সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। দুয়েক দিনের মধ্যেই সরকার এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে জানা গেছে।
শনিবার বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম এক ক্ষুদে বার্তায় বলেছেন, “কোভিড-১৯ মহামারিকাল সহ সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালীন সময়েও ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারের সকল লেনদেন যথাবিহিত অব্যাহতভাবে চালু থাকবে।”
নিয়ন্ত্রক সংস্থার মুখপাত্র শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “ব্যাংকের লেনদেনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। তবে আমরা আভাস পেয়েছি, এখন যেভাবে আড়াই ঘণ্টা লেনদেন চালু আছে সেভাবেই থাকবে। সে ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে লেনদেন দুই ঘণ্টাই চালু থাকবে।”
এদিকে ব্যাংকের লেনদেন চালু থাকবে কি না- এই বিয়য়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, “ব্যাংক হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় সেবা। এই সেবা দিতে আমরা বাধ্য এবং এটা চলমান রাখতে হবে।”
তিনি বলেন, “এই সংকটের মধ্যেও ব্যাংক খোলা রাখতে হবে। কারণ, মানুষ ব্যাংকিং লেনদেন না করতে পারলে অন্যান্য সংকটে পড়বে। চিকিৎসার জন্যও ব্যাংকের টাকা দরকার। সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে, কোন কৌশলে ব্যাংকিং সেবা দেয়া যায় সেটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”
চলমান লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকের লেনদেন চলছে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। অফিসের অন্যান্য কার্যক্রম চলছে দুপুর দুইটা পর্যন্ত।
ব্যাংকের লেনদেন পরিবর্তন করায় পুঁজিবাজারের লেনদেনও পরিবর্তন করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটার পরিবর্তে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারের লেনদেন মোবাইল অ্যাপস, টেলিফোন ইত্যাদির মাধ্য সম্পন্ন করার জন্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে বিনিয়োগকারীদের বার বার অনুরোধ করা হয়েছে।
কঠোর লকডাউনেও ব্যাংকের একই সময়সীমা থাকবে কি না- এমন প্রশ্নও ছিল সিরাজুল ইসলামের কাছে। জবাবে তিনি বলেছেন, “রোববার সরকারের নির্দেশনা জারি হওয়ার পর কীভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাব।”
তবে সীমিত আকারে হলেও ব্যাংকের লেনদেন চালু রাখা হবে-এটি নিশ্চিত করেছেন এই কর্মকর্তা।
এই পর্যায়ে পুঁজিবাজারের লেনদেনও পরিবর্তন করা হবে কি না- তা নির্ভর করছে ব্যাংকের লেনদেন নির্ধারণের উপর।