দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ গত এক সপ্তাহ ধরে আবারও বাড়ছে। করোনা সংক্রমণ বাড়লে দেশের পুঁজিবাজার আবারও বন্ধ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিনিয়োগকারীরা। এমতাবস্থায় পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বড় দরপতন হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের ব্যাপক পতনে লেনদেন চলছে। এদিন বেলা ১২টায় ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৬৩ পয়েন্ট কমেছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৭৭ পয়েন্ট।
গত এক সপ্তাহ ধরেই পুঁজিবাজার দরপতনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে বাজারে লেনদেনও কমেছে উল্লেখযোগ্যহারে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়লেও বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ঙ্কের কিছু নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার কোনো পরিকল্পনা বিএসইসির নেই। এছাড়া গত বছরের মত করোনা সংক্রামণ ঠেকাতে সরকারের লকডাউনে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংক, পুঁজিবাজার কোনোটাই বন্ধ থাকবে না। বিনিয়োগকারীদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বিনিয়োগকারীরা নির্ভয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর আগে থেকেই পুঁজিবাজারে দরপতন চলতে থাকে। ৮ মার্চের পর পুঁজিবাজারে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দরপতন হয়। এরপর ২৬ মার্চ পর্যন্ত পুঁজিবাজারের অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকে। ওই সময় করোনা সংক্রমণ রোধ করতে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ওই সময় ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে পরযন্ত লকডাউনে দুই মাসের বেশি সময় পুঁজিবাজার বন্ধ থাকে।