সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শেষ হয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন। দিন শেষে পাঁচ পয়েন্ট বেড়ে সূচক স্থির হয় পাঁচ হাজার ৫৬৮ পয়েন্টে। তবে সূচক কিছুটা বাড়লেও লেনদেন আগের চেয়ে কমে যায়। পাশাপাশি দর হ্রাস পায় বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের।
এদিকে বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল মোট লেনদেনে এগিয়ে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনের ২৪ শতাংশই দেখা যায় এ খাতের দখলে। পরের অবস্থানে ছিল বিবিধ খাতের কোম্পানি। দিন শেষে মোট লেনদেনে খাতটির অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১২ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল যথাক্রমে টেলিকমিউনিকেশন এবং ওষুধ ও রসায়ন খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে দুটি খাতেরই প্রায় ১০ শতাংশ অবদান চোখে পড়ে।
গতকাল দিনের বেশিরভাগ সময়ই শেয়ার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা দেখা যায়। শেয়ারদর পেয়ে অনেকেই শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেন। ফলে দিন শেষে দর হ্রাস পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা বেশি হয়।
৪ বছরে ৫ গুণ মুনাফা
এদিকে গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৮০৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ মার্কেটে ২১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। কোম্পানিগুলোর ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪২টি শেয়ার ৩৯ বার হাত বদল হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ আট কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসএস স্টিলের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি ১৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্র্যাক ব্যাংকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ এক কোটি ৭৯ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে জিবিবি পাওয়ারের।
ডিসেম্বর ক্লোজিং ১১২ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় বিনিয়োগকারীরা
এছাড়া জেনেক্সের ২৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার আমান কটনের পাঁচ লাখ আট হাজার টাকার, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ১২ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লের ১০ লাখ তিন হাজার টাকার, কোহিনুর কেমিক্যালের ৯ লাখ ২০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের সাত লাখ ২৯ হাজার টাকার, মীর আখতারের পাঁচ লাখ আট হাজার টাকার, ওয়াইম্যাক্সের পাঁচ লাখ টাকার, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৩ লাখ দুই হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।