পিপলস ব্যাংকের মূল উদ্যোক্তা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এমএ কাশেম। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। মূলধন সংগ্রহসহ আরও কিছু প্রস্তুতি বাকি থাকায় সম্মতিপত্রের মেয়াদ বাড়াতে সম্প্রতি আবেদন করে ব্যাংকটি।
আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর আগে মূলধন সংগ্রহসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এখনও শেষ করতে পারেনি প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক। তাই সম্মতিপত্রের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে ব্যাংকটি। সে অনুযায়ী মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় আবেদনে অনুমোদন দেয়া হয়।
২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় পিপলসসহ তিনটি ব্যাংককে সম্মতিপত্র দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর মধ্যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক সব প্রক্রিয়া শেষে বুধবার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠান থেকে কার্যক্রম শুরুর উদ্বোধন করা হয়।
বৃহস্পতিবার থেকে শাখা পর্যায়ে ব্যাংকিং সেবা দেয়া শুরু করেছে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে বেঙ্গল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের মো. জসিম উদ্দিনকে।
অনুমোদন পাওয়া অপর ব্যাংক সিটিজেন ব্যাংকও শিগগির কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পিপলস ব্যাংকের মূল উদ্যোক্তা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এমএ কাশেম। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। মূলধন সংগ্রহসহ আরও কিছু প্রস্তুতি বাকি থাকায় সম্মতিপত্রের মেয়াদ বাড়াতে সম্প্রতি আবেদন করে ব্যাংকটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, অনুমোদন প্রক্রিয়াতেই বড় ধরনের অনিয়মে জড়ায় পিপলস ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটির উদ্যোক্তাদের কয়েকজনের অর্থের উৎসে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে পিপলস ব্যাংক লিমিটেডকে দেয়া এলওআই বা সম্মতিপত্র (লেটার অব ইনটেন্ট) স্থগিত করা হয়েছিল।
এরপর বিতর্কিত উদ্যোক্তাদের বাদ দেয়ায় ব্যাংকটির সম্মতিপত্রের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মূলধনের অর্থ জমা দিলে ব্যাংকটিকে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেয়া হবে।
দুই বছর আগে অনুমোদনের সময় নতুন তিন ব্যাংককে মূলধন হিসেবে ৫০০ কোটি টাকা রাখার শর্ত দেয়া হয়। আগের দফায় অনুমোদন পাওয়া ৯ ব্যাংকের মূলধন ছিল ৪০০ কোটি টাকা।
নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ও ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার পুরো এখতিয়ার বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে।
২০০৯ সাল থেকে বর্তমান মহাজোট সরকার তিন মেয়াদে এখন পর্যন্ত ১৪টি বেসরকারি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যাংক বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৬২টি।
এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক হলো ছয়টি। সরকারি বিশেষায়িত ব্যাংকের সংখ্যা তিনটি। বেসরকারি ব্যাংক ৪২টির মধ্যে প্রচলিত ধারার ব্যাংক ৩৪টি। পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ধারার ব্যাংক ১০টি। এছাড়া দেশে নয়টি বিদেশি ধারার ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।