বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানিগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠনের অংশ হিসাবে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসএসি ফ্যামিলিটেক্সে ছয়জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়।
তারা হলেন কাজী আমিনুল ইসলাম, ড. সামির কুমার শীল, ড. গাজী মোহাম্মদ হাসান জামিল, ড. মো. জামিল শরিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ এহসান ও ড. মো. ফরজ আলী। ছয়জনের মধ্যে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাজী আমিনুল ইসলাম।
কোম্পানির আর্থিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে কীভাবে কোম্পানিটি আবার চালু করা যায় সে বিষয়ে কমিশনকে জানাবেন তারা।
কী করবেন স্বতন্ত্র পরিচালক
কোম্পানির আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনা করাসহ কীভাবে কোম্পানিটিকে আগের অবস্থায় বা উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে কাজ করবেন স্বতন্ত্র পরিচালকরা। এ ছাড়া কোম্পানির কোনো অসঙ্গতি থাকলে সেটি নিয়েও কাজ করবে পুনর্গঠিত বোর্ড।
এ বিষয়ে বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানিগুলোকে চালু করতে। দীর্ঘদিন এসব কোম্পানি বন্ধ থাকার কারণ বিদ্যমান বোর্ডে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করা। এ জন্য আমরা কোম্পানিগুলোতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিচ্ছি।’
কী করবে স্বতন্ত্র পরিচালকরা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোম্পানিটিকে চালু করার প্রাথমিক কাজটি তারা করবেন। পরবর্তীতে কেউ যদি কোম্পানিগুলো নিয়ে চালু করতে চায় তাহলে সেভাবে উদ্যোগ নেয়া হবে।
বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকের বক্তব্য
ফ্যামিলিটেক্স সম্পর্কে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী আফজাল হোসেন বলেন, তালিকাভুক্ত হওয়ার পর অনেক কোম্পানিগুলো নিজেদের আকষর্ণীয় করার জন্য প্রথমেই বোনাস শেয়ার দেয়ার পথ বেছে নেয়। শুধু ফ্যামিলিটেক্স নয় এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা বড় অংকের বোনাসের মাধ্যমে মূলত নিজেরাই লাভবান হয়েছে।
‘এই কোম্পানির বিনিয়োগাকরীরাদের কি অবস্থা সেটি যে খুব ভালো সেটা বলা যাবে না। কারণ যে কোম্পানির শেয়ারের উদ্যোক্তা পরিচালকদেরই কোনো সন্ধান নেই সেই কোম্পানির বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়া যাবে সেটা কল্পনার বিষয়।’
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘বোনাস শেয়ার দিয়ে কখনও কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বোঝা যায় না। কারণ কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন অস্পষ্টভাবে তৈরি করে দেখাতে পারে তাদের কাছে অনেক টাকা আছে। সেটি দিয়ে তারা কোম্পানি সম্প্রসারণ করবে। বাংলাদেশ এটাই হচ্ছে।
‘পরে সেই টাকার বিপরীতে বোনাস শেয়ার ইস্যু করে সে টাকা নিজেদের কাছে রেখে দিচ্ছে ঠিকই কিন্ত কোম্পানির কোনো উন্নতি করে না। আর যদি উন্নতি করেও থাকে তাহলে সেটা প্রতিফলন পাওয়ার কথা। কিন্ত সেটি না হয়ে এমনও হচ্ছে বড় বোনাস দিয়ে পরবর্তীতে কোম্পানি বন্ধ করে দিতে হবে।’