পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিডের নিলাম স্থগিত হয়ে গেছে। কোম্পানিটির সঙ্গে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান এবি ব্যাংকের মধ্যস্থতায় নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবি ব্যাংকের প্রথম কিস্তির ঋণ পরিশোধ করার পরও নিলামে আহ্বানের কারণে আমান ফিড কর্তৃপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। এর প্রেক্ষিতে আদালত বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে সমাধানের দায়িত্ব দেয়।
এ বিষয়ে আমান গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো: রবিউল হক বলেন, আমরা এবি ব্যাংকের ঋনের কিস্তি দেয়ার পরও নিলাম তোলা হয়। এরপর আদালতের কাছে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংককে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছে মাননীয় আদালত। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন দুই পক্ষকে ডেকে সমাধান দিবে। আদালত কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়িত্ব দেয়ার কারণে নিলামের সকল প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গেছে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে এবি বাংকের ঋণ জটিলতা অনেকটাই সমাধানের দিকে এগোচ্ছে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে কোম্পানি পূর্বের স্থগিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে বলে ও তিনি জানান।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিড একটি ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। কোভিড-১৯ মন্দা সময়েও কোম্পানিটি মুনাফার প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। কোম্পানিটি একই খাতের অন্য কোম্পানির তুলানায় বেশি মুনাফাও করছে।
আমান ফিডের চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৯ টাকা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৮৫ টাকা।
কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২০) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৭৭ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ০.৭৫ টাকা।
এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২০) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৬৬ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ১.৬০ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সর্বশেষ ৩ প্রান্তিকে আগের চেয়ে মুনাফা বেশি হয়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৩৫.১৪ টাকা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩৩.৩৯ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬.৪৬ টাকায়।