সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্ট বৃদ্ধি স্থির হয় পাঁচ হাজার ৪১৬ পয়েন্ট। একইভাবে বাড়তে দেখা যায় লেনদেন হওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। লেনদেন হওয়া ৩৪৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ১৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেযার ও ইউনিটের। পক্ষান্তরে দর হ্রাস পায় ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ছিল ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। যে কারণে শুরু থেকেই এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়তে থাকে। দিন শেষে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত ৪৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর হ্রাস পায়। একইভাবে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩০ প্রতিষ্ঠানের চারটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর হ্রাস পায়।
এদিকে গতকাল লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বাড়তে দেখা গেছে। দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৭৪৬ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হতে দেখা যায়। আগের কার্যদিবসে সেখানে লেনদেন হয়েছিল ৫৩০ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
অন্যদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ২৩টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির সাড়ে ২৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গতকাল কোম্পানিগুলোর এক কোটি ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৯৫৪টি শেয়ার ৪৩ বার হাত বদল হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৪ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে প্রাইম ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চার কোটি ৬৪ লাখ ৬১ হাজার টাকার ইউনিলিভারের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের।
এছাড়া জেনেক্সের ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ২৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকার, ড্রাগন সোয়েটারের ২০ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ারের ১৮ লাখ ১২ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ১১ লাখ ৬৬ হাজার টাকার, আমান ফিডের আট লাখ ৫৩ হাজার টাকার, বিবিএস কেব্লসের ১০ লাখ ২০ হাজার টাকার, বিডি থাইয়ের ১১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের আট লাখ ৪৯ হাজার টাকার, কেঅ্যান্ডকিউয়ের পাঁচ লাখ টাকার, কোহিনুর কেমিক্যালের ১৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।