1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

ঘোষিত লভ্যাংশের ভবিষ্যৎ কি

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আইডিএলসি ফিন্যান্স শেয়ারপ্রতি সাড়ে তিন টাকা, আইপিডিসি ফিন্যান্স ১ টাকা ২০ পয়সা ও বিডি ফিন্যান্স ৬০ পয়সা নগদ ও ৬ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার কারণে নিজেরাই তারা এখন নিশ্চিত নয় এই লভ্যাংশ দেয়া যাবে কি না।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠান যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তা দিতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আইডিএলসি ফিন্যান্স শেয়ারপ্রতি সাড়ে তিন টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়ে দিয়েছে কোনো অবস্থাতেই শেয়ারপ্রতি দেড় টাকার বেশি লভ্যাংশ দেয়া যাবে না।

একইভাবে আইপিডিসি ফিন্যান্স শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা আর বিডি ফিনান্স ৬০ পয়সা নগদ ও প্রতি ১০০ শেয়ারে ছয়টি করে বোনাস শেয়ার দিতে পারবে কি না, সেটিও নিশ্চিত নয়।

তারা শেয়ারপ্রতি দেড় টাকার নিচে লভ্যাংশের প্রস্তাব করলেও বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত নীতিমালায় আরও বেশ কিছু শর্তের কারণে এই প্রশ্ন উঠেছে।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, যেসব আথিক প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকৃত বা খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করবে না।

যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে মূলধন পর্যাপ্ততার হার ১০ শতাংশের কম এবং খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের এর বেশি, সেসব প্রতিষ্ঠান কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না।

যেসব আথিক প্রতিষ্ঠান সংরক্ষিতব্য সংস্থান (প্রভিশন সংরক্ষণ) না রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ঘাটতি সমন্বয় করে ডেফারেল সুবিধা (প্রভিশন সংরক্ষণে অতিরিক্ত সময় না নেয়া) ভোগ করছে, তারা সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দিতে পারবে।

এই নীতিমালা জারির আগেই তিনটি প্রতিষ্ঠান লভ্যাংশ ঘোষণা করে ফেলার পর কর্মকর্তারা নিশ্চিত হতে পারছেন না, এই নীতিমালা তাদের ওপর প্রযোজ্য হবে কি না।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ১৭ ফেব্রুয়ারি, আর এক সপ্তাহ পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি নীতিমালা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

কোম্পানিগুলো বোর্ড সভায় যে লভ্যাংশ ঘোষণা করে, সেটি অবশ্য চূড়ান্ত নয়। বার্ষিক সাভারণ সভায় শেয়ারধারীরাই তা অনুমোদন করে। বাংলাদেশে ঘোষিত লভ্যাংশ পরিবর্তনের ইতিহাস বিরল হলেও একেবারে যে হয়নি, এমনও নয়।

আইডিএলসি ও বিডি ফিন্যান্সের ৩১ মার্চ ও আইপিডিসির বার্ষিক সাধারণ সভার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৪ এপ্রিল।

কী বলছে প্রতিষ্ঠানগুলো

আইডিএলসি ফিন্যান্সের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মাসুদ করিম বলেন, ‘বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এমন নীতিমালা জারি করেছে। কিন্তু তার আগেই আমরা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক যদি মনে করে, আগে ঘোষিত লভ্যাংশ এই নীতিমালার বাইরে থাকবে তাহলে তো সমস্যা নেই।

‘তারপরেও আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করব। এর মাঝে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয় তাহলে তা অবশ্যই বিনিয়োগাকরীদের জানানো হবে।’

বিডি ফিন্যান্সের কোম্পানি সচিব মুন্সি আবু নাঈম বলেন, ‘আমরা ৬ শতাংশ নগদ ও ৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় শর্ত সাপেক্ষে ৫ শতাংশ পর্যন্ত বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এখন আমরা ৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারব কি না, সেটি দেখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্তের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি আমাদের চিঠি দেয় যে, যে নীতিমালা অনুযায়ী লভ্যাংশ ঘোষণা করতে হবে, তাহলে তাই করা হবে।’

যা বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নীতিমালা যেহেতু জারি করা হয়েছে, সেটা সবার জন্য মানা করা আবশ্যক। যারা ইতিমধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তাদেরও মানতে হবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ