1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন

বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মোচন হচ্ছে নতুন দ্বার

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
dse

‘এক ব্যক্তির কোম্পানি’ হলো সেই কোম্পানি, যার বোর্ডে সদস্য থাকবেন কেবল একজন। এক ব্যক্তি কোম্পানির পরিশোধিত শেয়ার মূলধন হবে কমপক্ষে ২৫ লাখ এবং সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা।

দেশি-বিদেশি ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মোচন হচ্ছে নতুন দ্বার। যৌথ বিনিয়োগকারী ছাড়াও চাইলে এখন একক ব্যক্তি করতে পারবেন বিনিয়োগ। মার্চ থেকে এমন প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করতে চায় যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি)। এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।

প্রতিষ্ঠান প্রধান মকবুল হোসেন জানান, এ লক্ষ্যে ফরম ছাপা ও অনলাইন ব্যবস্থা উপযুক্ত করা হচ্ছে। মার্চ থেকে নিবন্ধন দেয়া শুরু হবে। এরই মধ্যে অনেকে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন; খোঁজখবর নিচ্ছেন।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর সংসদে পাস হয় ‘এক ব্যক্তি কোম্পানি’ বিল। কোম্পানি আইন অনুযায়ী, এখন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি পরিচালিত হয় পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে। এই পর্ষদ বা বোর্ডের পরিচালক ও চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। কিন্তু এখন এককভাবেও ব্যবসা করার সুযোগ মিলবে।

ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক প্রেসিডেন্ট শামস মাহমুদ বলেন, ‘একক কোম্পানি উদ্যোগে অনলাইনকেন্দ্রিক ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের উপকার হবে বেশি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকারঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধা অনেকে পাননি। এক ব্যক্তি কোম্পানি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেলে এসব উদ্যোক্তাদের সুবিধা হবে।’

আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘এক ব্যক্তির কোম্পানি’ হলো সেই কোম্পানি, যার বোর্ডে সদস্য থাকবেন কেবল একজন। বিলে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি কোম্পানির পরিশোধিত শেয়ার মূলধন হবে কমপক্ষে ২৫ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা। কোম্পানিতে অব্যবহিত পূর্ববর্তী অর্থবছরের বার্ষিক টার্নওভার কমপক্ষে ১ কোটি ও সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা হবে।

২৫ লাখ টাকা ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন এক ব্যক্তি কোম্পানির জন্য বাধা বলে মনে করেন শামস মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে, বেশি মানুষকে অর্থনীতিতে যুক্ত করার লক্ষ্যে ব্যবসায়ের নতুন এ ধারা চালু করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু ২৫ লাখ টাকা ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অনেক বেশি। এটা ৫ লাখ টাকা করা উচিত।’

তিনি বলেন, ব্যবসায় বেশি অংশীদার সৃষ্টি হলে অনেক সময় জটিলতা তৈরি হয়। এখানে সেই শঙ্কা থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, এক ব্যক্তি অনেক ক্ষেত্রে পণ্য উৎপাদন শুরু করলে ঋণ চাইলে ব্যাংক তাদের পাশে দাঁড়ায় না। কারণ, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক চায় প্রতিষ্ঠান। নতুন আইনে এতে ঋণপ্রাপ্তিতেও সুবিধা হবে।

পাবলিক কোম্পানি গঠনের ক্ষেত্রে সাত বা তার বেশি ব্যক্তি এবং প্রাইভেট কোম্পানি গঠনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন দুই বা ততোধিক ব্যক্তি। কিন্তু একক ব্যক্তির ক্ষেত্রে একজনই কোম্পানি গঠন করার সুযোগ পাবেন।

এক ব্যক্তির কোম্পানি স্মারকের নির্ধারিত ফরমে তার একজন উত্তরাধিকারী বা মনোনীত এক ব্যক্তির নাম জানাতে হবে, যিনি একমাত্র শেয়ারহোল্ডারের মৃত্যুর পর ওই কোম্পানির সদস্য হবেন।

প্রত্যেক কোম্পানির পরিচালনা পরিষদের সভা প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার এবং প্রতি বছরে অন্তত চারবার অনুষ্ঠিত হতে হয়। তবে, এক ব্যক্তি কোম্পানির ক্ষেত্রে এ রকম কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

একক ব্যক্তি কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে বলা হয়, শেয়ার হস্তান্তরকারী বিদেশি নাগরিক হলে বা বিদেশে অবস্থান করলে শেয়ার হস্তান্তরের সমর্থনে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রত্যয়ন করা ঘোষণাপত্র পাঠাতে হবে।

পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাধারণ সভায় কোম্পানির ন্যূনতম ৫০ জন বা এর মোট সদস্যের ন্যূনতম ৫ শতাংশ শেয়ার মূলধনের অধিকারী শেয়ারহোল্ডারের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।

এ ছাড়া প্রত্যেক পাবলিক কোম্পানিতে এবং কোনো প্রাইভেট কোম্পানি পাবলিক কোম্পানির অধীন কোম্পানি হলে এমন প্রত্যেক প্রাইভেট কোম্পানিতে অন্যূন তিনজন পরিচালক থাকতে হবে। প্রত্যেক প্রাইভেট কোম্পানিতে অন্যূন দুইজন পরিচালক থাকতে হবে। তবে এক ব্যক্তি কোম্পানির ক্ষেত্রে একজন পরিচালক থাকতে হবে।

বার্ষিক ব্যালান্স শিট করার ক্ষেত্রে এক ব্যক্তির কোম্পানিতে কোনো অর্থবছরের হিসাব শেষ হওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে কোম্পানির আর্থিক বিবরণী দলিল সংযুক্ত করে দাখিল করতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি ব্যালান্স শিট এবং প্রতিবারের লাভ-ক্ষতির হিসাব অথবা আয় ও ব্যয়ের হিসাবে কোম্পানি-মালিক-পরিচালকের স্বাক্ষর থাকতে হবে।

কোম্পানি অবলুপ্তির ক্ষেত্রে আদালত সরকারি রিসিভার নিয়োগ দিতে পারবে। এ ছাড়া এক বা একাধিক ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে পারবে।

কোনো কোম্পানি অবলুপ্তির জন্য আদালতে দরখাস্ত উপস্থাপনের আগে কিংবা স্বেচ্ছায় অবসায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে এক বছরের মধ্যে যদি কোনো সম্পদ হস্তান্তর করে বা মালামাল সরবরাহ করে, তবে তা বাতিল হবে।

যৌথ বিনিয়োগে অনেক সময়ই সংকট তৈরি হয় বলে জানান আরজেএসসির নিবন্ধক মকবুল হোসেন। তিনি বলেন, একসময় পার্টনারদের মধ্যেও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। তবে, একজন যদি কোম্পানি খোলার সুযোগ পায়, তবে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ