নতুন শেয়ার লেনদেনের দিন কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকত না। তবে গত কয়েক মাসে প্রথম দুই দিন ৫০ শতাংশ দাম বাড়া যাবে বলে সার্কিট ব্রেকার বসানো হয়।
এই নিয়মে গত পাঁচটি কোম্পানির চারটির ক্ষেত্রে দেখা গেছে পর পর দুই দিন ৫০ শতাংশ করেই দাম বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে কোম্পানির স্বাস্থ্য বিবেচনা করা হয়নি।
একমাত্র কোম্পানি যেটি দ্বিতীয় দিন ৫০ শতাংশ দাম বাড়েনি, সেটা হচ্ছে মীর আকতার। তবে এর কারণ, ৫০ টাকা প্রিমিয়াম।
কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৬০ টাকায় ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৬৫ টাকা করে পেয়েছেন।
বহু বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধারণা আছে, কোনো শেয়ার প্রথম দুই কার্যদিবস ৫০ শতাংশ বাড়বে। আর এই সর্বোচ্চ দামে শেয়ার কিনে বিপুল পরিমাণ লোকসানে আছেন বিনিয়োগকারীরা।
টানা বেড়ে ১০ টাকার রবি ৭৭ টাকা, ৩১ টাকার এনার্জিপ্যাক ১০১ টাকা, ১০ টাকার তাওফিকা অ্যাগ্রো (লাভেলো আইসক্রিম) ২৭ টাকা, ৫৪ টাকার মীর আকতার ১১৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সবগুলোতেই এখন বিপুল লোকসানে বিনিয়োগকারীরা।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত তাওফিকা ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো পুঁজিবাজার থেকে তুলেছে ৩০ কোটি টাকা।
২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকে রবি ৫২৩ কোটি, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স ১৬ কোটি, ডমিনোস স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড ৩০ কোটি, এসোসিয়েট অক্সিজেন ১৫ কোটি, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স ২৬ কোটি টাকা তুলেছে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে চলতি বছর মীর আকতার ১২৫ কোটি, অ্যানার্জিপ্যাক ১৫০ কোটি টাকা তুলেছে।
২০২০ সালে ওয়ালটন ১০০ কোটি আর এডিএন টেলিকম তুলেছে ৫৭ কোটি টাকা।