1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

পুঁজিবাজারে বেক্সিমকো লিমিটেডের কদর কমছেই না

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
beximco

২০১০ সালের মহাধসের পর সাত থেকে আট বছর ঘুমানো শেয়ারটি জেগে উঠে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে কেন- এই বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন বহুজন। গত তিন মাসে এই শেয়ারটিতে যারা কিনেছেন, তারা বেশ ভালো মুনাফা পেয়েছেন। বুধবার বাজারে লেনদেনের এক তৃতীয়াংশই এই বেক্সিমকো লিমিডেটের।

পুঁজিবাজারে উত্থান বা পতন, বাজারে চাঙ্গাভাব বা মন্দা- যে কোনো পরিস্থিই থাকুক না কেন, মাস তিনেক ধরে পুঁজিবাজারে বেক্সিমকো লিমিটেডের কদর কমছেই না।

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে এই কোম্পানিটি। হাতে গোনা এক দুই দিন ছাড়া প্রতি দিনই লেনদেনের শীর্ষে থাকছে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পারিবারিক কোম্পানিটি।

২০১০ সালের মহাধসের পর সাত থেকে আট বছর ঘুমানো শেয়ারটি জেগে উঠে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে কেন- এই বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন বহুজন।

গত তিন মাসে এই শেয়ারটিতে যারা কিনেছেন, তারা বেশ ভালো মুনাফা পেয়েছেন। ২০ টাকা থেকে টানা বেড়ে ৫০ এক কোটায় এরপর ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকার ঘরে গেছে শেয়ারটি।

মাঝে কিছুটা দরপতন হয়ে আবার নামে ৭০ টাকার ঘরে। কিন্তু পরে আবার বাড়ে দাম। এখান থেকে ৯০ টাকার ঘরে পৌঁছতে সময় লাগেনি।

এর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডের মূল্য সংবেদনশীল বেশ কিছু তথ্য এসেছে। করোনাকালে যখন দেশের রপ্তানি আয় তলানিতে পড়ে, তখন পিপিই তৈরি করে ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে তারা। বিদ্যুৎকেন্দ্রেও বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।

আরও পড়ুন: পিপিই পার্ক করল বেক্সিমকো, পণ্য কিনবে যুক্তরাষ্ট্র
ভারত থেকে করোনার টিকা আনতে এই গ্রুপের আরেক কোম্পানি বেক্মিমকো ফার্মা হয়েছে লোকাল এজেন্ট এবং তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা আনায় প্রতি ডোজে এক ডলার করে পাবে তারা।

আবার প্রায় ৯০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছে পিপিই পার্ক। বছরে এখান থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার পণ্য রপ্তানির আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখান থেকে।

বুধবার সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসেও বেক্সিমকো লিমিটেড নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের। এদিন বাজারে যত লেনদেন তার এক তৃতীয়াংশই হয়েছে এই একটি শেয়ারের হাতবদলে।

এদিন লেনদেন হয়েছে ৮৬৩ কোটি ৮৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে এক বেক্সিমকোর লেনদেন হয়েছে ২৫৮ কোটি ৭৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকার।

যদিও গত কয়েকদিনে শেয়ারটির দর টাকা বৃদ্ধির যে প্রবণতা দেখা দিয়েছিল, তাতে ছেদ পড়েছে। আগের দিনের তুলনায় ৫ টাকা ৬০ পয়সা দর হারিয়েছে শেয়ারটি।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেনযোগ্য শেয়ার বা ফ্রি ফ্রট শেয়ার আছে বেক্সিমকোর। আর নানা ইতিবাচক খবরে বিনিয়োগকারীরা এখন আকৃষ্ট হয়েছেন।

কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৮৭ কোটি ৬৩ লাখেরও বেশি। এর ৩০.৫৫ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। বাকি প্রায় ৭০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ২৯ কোটি শেয়ার লেনদেনের যোগ্য।

গত ২৫ জানুয়ারি সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছে বেক্সিমকোর। সেদিন তিন কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৩৩টি শেয়ার কেনাবেচা হয়। আজ হাতবদল হয়েছে দুই কোটি ৮২ লাখ ৫৩ হাজার ১৩৭টি।

গত ২ ডিসেম্বরের পরে কখনও এক দিনে এক কোটির কমে শেয়ার কেনাবেচা হয়নি এই কোম্পানিটির। এর মধ্যে ২৬ কার্যদিবস দিনে দুইরও বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে এই একটি কোম্পানির।

বুধবার বেক্সিমকো গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারেও ছিল তুমুল আগ্রহ। সবচেয়ে বেশি লেনদেনের দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল এটি।

এদিন বেক্সিমকো ফার্মার ৪১ লাখ ৯২ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি টাকা।

আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণার আগে পরে তুমুল আগ্রহ তৈরি হওয়া বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড-বিএটিবিসির শেয়ারের অবস্থান তৃতীয়তে। একটির বিপরীতে দুটি বোনাস শেয়ার পাবেন এর বিনিয়োগকারীরা। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনছেন তারা।

বুধবার এর তিন লাখ ৯৩ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকয়।

লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও দর ধরে রাখতে পেরেছে নতুন তালিকাভুক্ত রবি। নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করলে বড় দর পতনের যে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, সেটি হয়নি এই শেয়ারের ক্ষেত্রে।

আগের দিনের ধারাবাহিকায় আজও সামান্য দর হারিয়েছে শেয়ারটি। তবে শতকরা হিসাবে তা ১.৪৩ মাত্র।

কোম্পানিটির ৯১ লাখ ৬৭ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ২০ লাখ টাকায়।

আজ পুঁজিবাজারে সার্বিক লেনদেনে ৫৬ শতাংশ ভূমিকা ছিল পাঁচ কোম্পানির। মোট লেনদেন হয়েছে ৮৬৩ কোটি টাকা। পাঁচ কোম্পানির মোট লেনদেন হয়েছে ৪৮৫ কোটি টাকা।

বিমা খাতে আবার উত্থান

লেনদেনের শুরুতেই দর বাড়তে থাকে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের। ৪৯টি বিমা কোম্পানির মধ্যে সাড়ে নয় শতাংশের বেশি দর বেড়েছে ২৪টি কোম্পানির।

এই খাতের মাত্র একটির দর কমেছে। দুইটির দর পাল্টায়নি। আর বাকি ৪৬টির দর বেড়েছে।

লেনদেনর শুরুর এক ঘণ্টায় শীর্ষ দর বৃদ্ধি পাওয়া ৩৭ কোম্পানির সবগুলোই ছিল বিমার। এমনকি শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পরে ১৭ কোম্পানির।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘বিমা কোম্পানির শেয়ার নিয়ে আগেও কারসাজি হয়েছে। তখন বিমার শেয়ারের দর বাড়ানো হয়েছিল। এতে সিংহভাগ বিনিয়োগকারী লোকসান করেছে।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যেসব বিনিয়োগকারী আছে তাদের কতজন বিমা সম্পর্কে জানে? কিন্ত বিমার শেয়ারের দর বাড়ছে এটা শোনেই কিনতে আগ্রহী হয়ে যায়। তবে দর বাড়লেও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এর মুনাফা নিতে পারে না।’

ইসলামী ইন্স্যুন্সের সচিব মুজিবর রহমান বলেন, ‘বিশেষ কোনো কারণ নেই বিমার শেয়ারের দর বাড়ার। পুঁজিবাজারের কোনো কারণ ছাড়াই দর বাড়ে।’

স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের সচিব ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার মুন্সী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিমা নিয়ে এমন কোনো তথ্য জানা নেই যাতে পুঁজিবাজারে এই খাতের এমন প্রভাব পড়তে পারে। তবে সম্প্রতি সময়ে আইডিআরএ যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে এজেন্ট কমিশন বাতিল, পরিচালকদের পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে শেয়ার ধারণ ইত্যাদির প্রভাব থাকতে পারে।’

সূচক ও লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ২৩ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৫০৩ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস এক দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৫০ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২৫ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১২০ পয়েন্ট।

এ সময়ে ৩৪৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০১টির, কমেছে ১৪১টির, পাল্টায়নি ১০২টির।

এ সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের-সিএসই প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৬৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া ২৪০ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ১০৭টির ও পাল্টায়নি ৫৭টির। লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি টাকা।

আগ্রহ অনাগ্রহের কোম্পানি

বুধবার দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ কোম্পানি মধ্যে নয়টি ছিল বিমার। এরমধ্যে জনতা ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ দশ শতাংশ। এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের নয় দশমিক ৯৮ শতাংশ, মিরাক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের দর বেড়েছে নয় দশমিক ৯৬ শতাংশ, প্রভাতি ইন্সেরেন্সের নয় দশমিক ৯৪ শতাংশ, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের নয় দশমিক ৯২ শতাংশ।

এছাড়া এ তালিকায় ছিল অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স ও ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স।

দর পতনের দিক দিয়ে বুধবার শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, যার পাঁচ দশমিক ৮৭ শতাংশ দর কমেছে। এছাড়া এ তালিকায় ছিল মাইডাস ফিন্যান্স, শাইনপুকুর সিরামিক, এসএস স্ট্রিল, যমুনা ব্যাংক, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ