সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে গতকাল পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান দেখা গেছে। এদিন সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়তে দেখা গেছে লেনদেন হওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। এ দৌড়ে বিনিয়োগকারীদের চাহিদায় এগিয়ে ছিল ২০০ টাকার বেশি দরের শেয়ারের। ফলে এসব শেয়ারদরই বেশি বাড়ে।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এদিন সকাল থেকেই তুলনামূলক বেশি দরের শেয়ারে চাহিদা ছিল বিনিয়োগকারীদের কাছে। এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে থাকতে দেখা যায় ২০০ টাকার বেশি দরের শেয়ারগুলোকে। গতকাল দিন শেষে দেখা যায় এ ধরনের শেয়ারে আগ্রহ ছিল ৭৪ শতাংশ বিনিয়োগকারীর।
এদিকে গত কয়েক দিনের মতো গতকালও মোট লেনদেন বেশ এগিয়ে ছিল বিবিধ খাত। লেনদেন এ খাতের অবদান দেখা যায় ৩০ শতাংশের বেশি। পরের অবস্থানে থাকা খাদ্য খাতের অবদান ছিল ১৩ শতাংশের কিছু বেশি। এছাড়া আর্থিক, প্রকৌশল ও টেলিকমিউনিকেশন খাতের বিনিয়োগকারীদের উল্লেখযোগ্য অবদান দেখা যায়।
অন্যদিকে ডিএসইতে গতকাল মোট এক হাজার ৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বøক মার্কেটে ১৬টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৯৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। কোম্পানিগুলোর ৬৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৭৯টি শেয়ার ৩৫ বার হাতবদল হতে দেখা যায়।
এসব কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩২ কোটি ৬৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয় বেক্সিমকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ কোটি ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয় বেক্সিমকো ফার্মার।
এছাড়া বিকন ফার্মার ৮ কোটি ৬৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকার, বিডি থাইয়ের ৪২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ৭ লাখ ১৩ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৩৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ১৪ লাখ ১৯ হাজার টাকার ও মীর আকতারের ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এদিকে গতকাল দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে স্থির হয় পাঁচ হাজার ৫৪৫ পয়েন্টে।