কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা আছে ৯০৭ টাকা ৬০ পয়সা। যদি এর নিচে এই কোম্পানির শেয়ার বিক্রি হতে না পারে, তাহলে শেয়ারধারীরা বিপুল মুনাফা পাবেন। কারণ, এখন একটি শেয়ারধারী তখন তিনটি শেয়ারে পাবেন ২ হাজার ৭২২ টাকা ৬০ পয়সা। যদিও বৃহস্পতিবার শেয়ারের মূল্য এর চেয়ে ১ হাজার টাকা কম।
বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড (বিএটিবিসি) শেয়ারপ্রতি ৬০ টাকা নগদের পাশাপাশি একটির বিপরীতে দুটি করে বোনাস শেয়ার দেবে।
প্রশ্ন উঠেছে, বোনাস শেয়ার বিও হিসাবে যুক্ত হওয়ার পর সর্বনিম্ন কত টাকায় বিক্রি হবে এই শেয়ার।
দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাতে সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ঘোষণা করা হয় ফ্লোর প্রাইস। তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির ক্ষেত্রেই এই দাম বেঁধে দেয়া আছে। বলা হয়েছে, এর নিচে কোনো অবস্থাতেই শেয়ারের দাম যাবে না।
ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো কোম্পানির মৌল ভিত্তি বিবেচনায় না নিয়ে বাজার মূল্যকেই বিবেচনা করা হয়। গত ২২ মার্চের আগের পাঁচ দিনের গড় মূল্য ফ্লোর প্রাইস হিসেবে ধরা হয়।
ফ্লোর প্রাইস নির্দিষ্ট হওয়ার পর যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে লভ্যাংশ সমন্বয়ের পর ফ্লোর প্রাইস নতুন করে ঠিক করা হয়নি।
গত ২২ মার্চ মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারিজের ফ্লোর প্রাইস ঠিক করা হয় ৭৯৪ টাকা। এরপর কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে।