পরপর দুই দিন পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতনের ঘটনা ঘটেছে। আগের কার্যদিবসে ১৪২ পয়েন্ট সূচক পতনের পর গতকাল পতন হয় ১২৮ পয়েন্ট। দিন শেষে সূচকের অবস্থান হয় পাঁচ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে। আগের কার্যদিবসের মতো গতকালও একযোগে কমে প্রায় সব শেয়ার ও ইউনিটদর। দিন শেষে দর বাড়ে মাত্র ২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল পুঁজিবাজারে সব খাতেই ছিল বিক্রয় চাপ। অন্যদিকে কাক্সিক্ষত দরে ছিল না ক্রেতা। বিক্রেতা এবং ক্রেতার মধ্যে ব্যবধান ছিল অনেক বেশি। যে কারণে দিন শেষে পতনের তালিকা ভারি হয়।
এদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায় আগের কার্যদিবসের মতো সবার শীর্ষে ছিল বিবিধ খাত। মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখা যায় ১৮ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের অবদান দেখা যায় প্রায় ১৫ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য ও আর্থিক খাতের মোট লেনদেনে অংশগ্রহণ ছিল যথাক্রমে ১২ এবং ১১ শতাংশ।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৭৮৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হতে দেখা যায়। আগের কার্যদিবসে এখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭৭১ কোটি টাকা।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইর ব্লক মার্কেটে মোট লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি টাকার শেয়ার। এ মার্কেটে গতকাল ১২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১০ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৭টি শেয়ার ২৭ বার হাত বদল করে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ চার কোটি ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে লিনডেবিডির। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চার কোটি ৩৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার রেনেটার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ৫১ লাখ ৩৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের।
এছাড়া জিবিবি পাওয়ারের এক কোটি ৬৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকার, জেনেক্সের ২১ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকার, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের পাঁচ লাখ ২৯ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর আট লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।