পুঁজিবাজারে সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি দাম বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম, স্বর্ণ ও ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের। তবে কমেছে ডলারের দাম। কিছুটা ভাটার দান ইউরোপের শেয়ারবাজারগুলোতেও।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিটে রেকর্ড লেনদেনের পর মঙ্গলবার তেজিভাব দেখা গেছে এশিয়ার পুঁজিবাজারগুলোতেও। বেড়েছে জ্বালানি তেল, ডিজিটাল কারেন্সি বিটকয়েন ও স্বর্ণের দামও।
বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারের সূচক তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রের এমএসসিআইয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় পুঁজিবাজারগুলোতে সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। জাপানে সূচক দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে সূচক দাঁড়িয়েছে ৭২২.৯৫ পয়েন্টে।
চীনে সূচক বেড়েছে ১.৬৭ শতাংশ। হংকংয়ে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় বেড়েছে শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিটে সবশেষ লেনদেনে সূচক পৌঁছায় সর্বকারের সেরা অবস্থায়। ন্যাসড্যাক স্টক মার্কেটে লেনদেন বৃদ্ধি পায় ১ শতাংশ। আর এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও ডো জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়ালে এভারেজে লেনদেন বৃদ্ধি পায় শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।
ডিজিটাল মুদ্রার অস্থির বাজারে বিটকয়েনের মূল্য ২০ শতাংশ বেড়েছে। প্রথমবারের মতো প্রতিটি বিটকয়েনের মূল্য ছাড়িয়েছে ৪৭ হাজার ডলার। এই দামের আশেপাশেই বেশ কিছু দিন ধরে মুদ্রাটি ঘুরাফেরা করছিল।
ডিজিটাল এই মুদ্রার দাম বাড়ার পেছনে রয়েছে টেসলার বিনিয়োগ। গত কয়েকদিনের মধ্যে ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানটি। তারা জানিয়েছে, ভবিষ্যতে তাদের পরিবেশবান্ধব গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে বিটকয়েনে মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে।
জ্বালানি তেলের দামও বাড়ছে লাফিয়ে। ১৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছেছে দাম। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট জানিয়েছে, প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট তেলের দাম শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ তথা ৪৫ সেন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৩৯ ডলারে। আর প্রতি ব্যারেল ক্রুড তেলের দাম ৪৩ সেন্ট বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৫৮ দশমিক ৩৯ ডলারে।
সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে সূচকে রেকর্ড ধসের পর মঙ্গলবার উত্থানে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের লেনদেন। বাড়তে শুরু করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর।
লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টায় সূচক বেড়েছে প্রায় ৮৫ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ২০৭ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৬টির, কমেছে ২২টির; পাল্টায়নি ৭১টির।
বেড়েছে স্বর্ণের দাম। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৮৩৭ ডলারে। স্বর্ণের বিপরীতে ডলারের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ।
তবে ইউরোপের পুঁজিবাজারে কিছুটা ভাটার টান। ইউরোস স্টক্সের সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ। লন্ডনের এফটিএসই সূচক কমেছে দশমিক ১২ শতাংশ। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক আছে গতানুগতিক।