বেসরকারী বীমা কোম্পানি প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সিইওসহ ঊর্ধতন দুই কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায় আইডিআরএর তদন্ত দল। এর প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানসহ অভিযুক্তদের জরিমানা প্রদান করা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের প্রত্যেকেই নির্দোষ দাবী করে আইডিআরএর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে। এ আবেদনের উপর অনুষ্ঠিত শুনানীতে অর্থ জরিমানা কমলেও নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেনি অভিযুক্তরা। আইডিআরএ সূত্রে এমনটা জানা গেছে।
সূত্র জানায়, পুন:বীমায় অনিয়ম, বিদেশে মুদ্রাপাচার ও বেতন-ভাতার অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অভিযোগ দেয় এক বিনিয়োগকারী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সার্ভিল্যান্স টিম। অনুসন্ধানে প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের সাবেক সিইও মোহাম্মদী খানমসহ দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনিয়মের সংশ্লিষ্টতার প্রমান পায়। পরে সার্ভিল্যান্স টিমের রিপোর্ট ও পরামর্শে কোম্পানিসহ অভিযুক্তদের আর্থিক জরিমানা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। কিন্তু এ জরিমানার বিপরীতে অভিযুক্ত প্রত্যেকেই নিজেদের নির্দোষ দাবী করে রিভিউ আবেদন করে। গত ১৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কার্যালয়ে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীতে অভিযুক্ত কেউই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেনি। ফলে জরিমানা বহাল থাকলেও এর পরিমাণ কিছুটা কমানো হয়েছে।
রিভিউ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, পুন:বীমায় অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় বীমা করপোরেশন আইন, ২০১৯ এর ১৮ ধারা অনুযায়ী প্রাইম ইন্স্যুরেন্সকে জরিমানা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পূর্বে ধার্যকৃত জরিমানা পুনর্বিবেচনা করে ১০ লাখ টাকার পরিবর্তে পাঁচ লাখ টাকা এবং মোহাম্মদী খানমকে পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে কোম্পানির দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জরিমানা আগের এক লাখ টাকাই বহাল রাখা হয়।
এদিকে মোহাম্মদী খানমের বেতন-ভাতার অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলনের বিষয়ে কোম্পানির সাথে সমঝোতা করে ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়। রিভিউ শুনানীর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জরিমানার টাকা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধের নির্দেশ দেয় আইডিআরএ।