পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড বীমা খাতের নিয়ন্ত্র সংস্থা আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি করার অভিযোগ তুলেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করারও অভিযোগ করেছে তারা।
আজ রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন ডেল্টা লাইফের নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী কামরুল আহসান। রাজধানীর গুলশানে ডেল্টা লাইফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদিবা রহমানসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে কামরুল আহসান বলেন, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) বর্তমান চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেন এক সময় ডেল্টা লাইফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। ক্ষমতার সুযোগ পেয়ে তিনি নানাভাবে ডেল্টা লাইফকে হেনস্থা করছেন।
তিনি বলেন, আইডিআরএ চেয়ারম্যান উদ্দেশ্যমূলকভাবে ডেল্টা লাইফের ২০১৯ সালের একচুয়ারিয়াল ভ্যালুয়েশনের বেসিস অনুমোদন দেয়নি। মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার মেয়াদ নবায়নের বিষয়টি অনুমোদন করেননি। তিনি (আইডিআরএ চেয়ারম্যান) নানা অজুহাতে অন্যায়ভাবে ডেল্টা লাইফকে জরিমানা করার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়া কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ বহিষ্কার করে প্রশাসক নিয়োগেরও হুমকি দিচ্ছেন।
ঘুষ দাবির অভিযোগ তুলে কামরুল হাসান বলেন, বিভিন্ন বিষয় সমাধানের জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তিনি কোম্পানির কাছে প্রথমে ২ কোটি, পরবর্তীতে ১ কোটি ও সর্বশেষ ৫০ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন। এ সংক্রান্ত অডিও ক্লিপ ও ট্রান্সক্রিপটি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ আকারে দাখিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগ অধিকতর তদন্ত করার আদেশ দিয়েছেন।
কামরুল আহসান জানান, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের বিদ্বেষপূর্ণ আচরণের কারণে ডেল্টা লাইফ কোম্পানি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে এ হয়রানি বন্ধ করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান কোম্পানির তিনি।
ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আদিবা রহমান বলেন, আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান আমাদের কাছে ঘুষ চেয়েছিলেন। আমরা সেই ঘুষ না দেয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ওই কর্মকর্তা (আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান) মোবাইল ফোনে ঘুষ চেয়েছেন। আমাদের কাছে এর রেকর্ড রয়েছে। এগুলো আমরা দুদকে দিয়েছি। আর অডিট রিপোর্টে কিছু অভিযোগ তুলেছেন। তবে রিপোর্টেই বলা আছে এগুলো প্রমাণিত নয়। এক্ষেত্রে প্রমাণিত না হলে অভিযোগ আমলে নেয়া যায় না।