চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয়ে (ইপিএস) সংশোধন আনা হয়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৭ পয়সা। এর আগে ৪৫ পয়সা ইপিএসের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল।
চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ২১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৯ টাকা ৮৫ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে জিবিবি পাওয়ার। এর মধ্যে ৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ। এর আগে ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ আকারে বিতরণ করেছে তারা। সমাপ্ত হিসাব বছরে জিবিবি পাওয়ারের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৭৬ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৯ টাকা ৯৩ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২০ টাকা ৩০ পয়সা।
বিদ্যুৎ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ চলতি বছরের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফারেটিং)।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল জিবিবি পাওয়ার। ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০১৪ হিসাব বছর পর্যন্ত শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০১৫ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি তারা। এক বছর বিরতি দিয়ে ২০১৬ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১৭ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা। তবে ২০১৮ হিসাব বছরে কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি কোম্পানিটি।