ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)। সপ্তাহজুড়ে ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির ১০ কোটি ৭৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮১৮টি শেয়ার ৯৩৪ কোটি ৪৪ লাখ ২৮ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর দুই দশমিক শূন্য চার শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর আট দশমিক ১৪ শতাংশ বা ছয় টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৮৫ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৮৫ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৮১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮৬ টাকায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৯৬ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭৬ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ২৪৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দুই কোটি ৮২ লাখ ৪৮ হাজার ৪১৫টি শেয়ার ৫৬৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর সাত দশমিক ৩২ শতাংশ কমেছে।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল রবি আজিয়াটা লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির সাত কোটি ৯৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮০টি শেয়ার ৪৩৩ কোটি ২৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের সাত দশমিক ২০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে।
আর চতুর্থ অবস্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে আট কোটি ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৭টি শেয়ার ৩৭৪ কোটি ৩৯ লাখ তিন হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ছয় দশমিক ২২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমেছে।
আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা সামিট পাওয়ার লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে তিন কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার ৩২৭টি শেয়ার ১৯৭ কোটি এক লাখ ৬৩ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ২৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর সাত দশমিক ৪৩ শতাংশ কমেছে।