স্বাধীনতার পর থেকেই নেদারল্যন্ডের সঙ্গে অর্থনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। বর্তমানে নেদারল্যান্ডে কয়েক বিলিয়ন ডলারের রফতানি করে বাংলাদেশ। গত কয়েক দশকে উন্নয়নের কারণে ডাচ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে ব্যবসা কৃষি, হালকা শিল্পসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তবে তাদের অনেকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সঠিক অংশীদার খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে কঠিন মনে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে অনেক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মনে করেন, ডাচ বিনিয়োগের চেয়ে তাদের জ্ঞান ও প্রযুক্তি বেশি প্রয়োজন আমাদের।
এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্ভাব্য ডাচ পার্টনার সম্পর্কে জানতে চান যারা বাংলাদেশে জ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে আসবে। যদি এক কথায় বলা যায় বাংলাদেশিরা ডাচ বিনিয়োগের থেকে তাদের জ্ঞান ও প্রযুক্তিকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।’
ডাচ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের অনেকে জানিয়েছেন সঠিক অংশীদার খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে কঠিন এখানে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, স্কয়ার, জেমকন, কাজী গ্রুপ, প্যারাগন, এসিআই, পিএইচপি, ইস্পাহানি, মেঘনাসহ অন্যান্য বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিয়ে বড় একটি প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন যেখানে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
নেদারল্যান্ড কৃষিখাতে অত্যন্ত দক্ষ ও তাদের প্রযুক্তি উন্নতমানের এবং বাংলাদেশ এই সুযোগ নিতে পারে বলে রাষ্ট্রদূত জানান।
তিনি বলেন, ‘নিম্নমানের প্রযুক্তি, তথ্যের ঘাটতি এবং অদক্ষ যোগান ব্যবস্থা বাংলাদেশে কৃষিখাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই তিনটি বিষয়ে ডাচদের জ্ঞান অনেক বেশি যা বাংলাদেশ ব্যবহার করলে এখানে উন্নতি করা সম্ভব।’
হালকা প্রকৌশল খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হলেও এই খাতে সঠিক অংশীদার পাওয়া কঠিন বলে অনেক ডাচ বিনিয়োগকারী এখানে আসছেন বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
তবে তিনি বলেন, জনসংখ্যা, দক্ষ জনশক্তি, বড় বাজার, স্থিতিশীল বিনিময় হারসহ অন্যান্য কারণে বাংলাদেশের বাজার অত্যন্ত লোভনীয়।
রাষ্ট্রদূত জানান, এখানে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং জরুরি। এছাড়া সার্কুলার অর্থনীতি, রিসাইক্লিং, স্পেয়ার পার্টস কারখানা, টেক্সটাইলসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে।