প্রতি তিন মাসে পর পর নিয়ম অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের ব্যবসার আয়-ব্যয়ের তথ্য প্রকাশ করতে হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এই আট কোম্পানি তাদের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি আটটির লোকসানের তথ্য উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে ।
চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক, ২০২০ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে ব্যবসায় লোকসান করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আটটি কোম্পানি। এই আট কোম্পানি হল- জেমিনি সী ফুড, শ্যামপুর সুগার মিল, এটলাস বাংলাদেশ, জিল বাংলা সুগার মিল, ইউনিক হোটেল, হামিদ ফেব্রিক্স, আজিজ পাইপ এবং খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং।
জেমিনি সী ফুড
২০২০ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ২৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ৮৬ পয়সা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মোট লোকসান হয়েছে ৭ টাকা ৯২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৪১ পয়সা লোকসান করে কোম্পানিটি।
শ্যামপুর সুগার মিল
২০২০ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৫ টাকা ১৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ২২ টাকা ৭৪ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান হওয়ায় ছয় মাসের হিসেবে কোম্পানিটির লোকসানের পাল্লা ভারী হয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মোট লোকসান হয়েছে ৪৯ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ৪৬ টাকা ৪ পয়সা।
এটলাস বাংলাদেশ
২০২০ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৪১ পয়সা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মোট লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৪৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৭৯ পয়সা লোকসান করে কোম্পানিটি।
জিল বাংলা সুগার মিল
২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩৬ টাকা ৮৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ৩৫ টাকা ৫০ পয়সা।
ইউনিক হোটেল
অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয় ৫৫ পয়সা। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২ পয়সা মুনাফা করে কোম্পানিটি।
হামিদ ফেব্রিক্স
২০২০ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ২৭ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান হওয়ায় ছয় মাসের হিসেবে কোম্পানিটির লোকসানের পাল্লা ভারী হয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মোট লোকসান হয়েছে ৯৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৬০ পয়সা মুনাফা করে কোম্পানিটি।
আজিজ পাইপ
২০২০ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ১ পয়সা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ২১ পয়সা মুনাফা করে কোম্পানিটি।
খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং
২০২০ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ১ পয়সা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৩৭ পয়সা লোকসান করে কোম্পানিটি।