ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যানুসারে, বাজার মূলধনে নতুন করে যোগ হওয়া কোম্পানিগুলো হচ্ছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি ও ওষুধ খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সম্প্রতি বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির তালিকায় স্থান পেয়েছে। পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক উত্থানের কারণে কোম্পানি দুটির শেয়ারদর বেড়েছে, যার প্রভাবে কোম্পানি দুটির বাজার মূলধন বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে আইসিবির বাজার মূলধন ৯ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং বেক্সিমকো ফার্মার বাজার মূলধন ৮ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।
দীর্ঘমেয়াদে কোনো কোম্পানির পারফরম্যান্স যত ভালো হয়, শেয়ারহোল্ডাররা রিটার্নও তত বেশি পান। রিটার্ন বেশি হলে বিনিয়োগকারীদের কাছে সে কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা বাড়ে। এভাবে বেড়ে যায় ওই কোম্পানির ভ্যালুয়েশন। সাধারণত ১ বিলিয়ন ডলার কিংবা তার বেশি ভ্যালুয়েশনের কোম্পানিকে আর্থিক বিশ্লেষকরা বড় ও ভালো কোম্পানির স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বয়স ৬৬ বছর হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র নয়টি কোম্পানি বাজার মূলধনের দিক দিয়ে বিলিয়ন ডলারের স্বীকৃতি পেয়েছে। যদিও বাংলাদেশের সমপর্যায়ের অর্থনীতির দেশ ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও ভিয়েতনামে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির সংখ্যা এর চেয়ে বেশি। আর প্রতিবেশী ভারতে এ সংখ্যা দুই শতাধিক।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক উত্থানের কারণে শেয়ারদর বাড়ায় বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে। একইভাবে শেয়ারদর কমে গেলে তখন বাজার মূলধনও কমে যাবে। অবশ্য কোম্পানির ব্যবসায়িক ও আর্থিক পারফরম্যান্সে যদি ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি থাকে এবং সেটি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় পুঁজিবাজারের মন্দা সময়েও এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারদর স্থিতিশীল থাকে।