শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ঔষধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এর বিরুদ্ধে নানা দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সেই সাথে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের সহ বেশ কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। প্রতারনা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোম্পানিটি ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী।
অভিযোগ রয়েছে যে, কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া এবং ক্ষতিকারক ঔষধ বাজারজাত করে আসছে এবং আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দূর্নীতি করে যাচ্ছে কোম্পানি। কোম্পানির বিরুদ্ধে শুধু সাধারণ মানুষ নয় বরং এমডির আপন বড় ভাই অভিযোগ তুলেছে, জানিয়েছে কোম্পানির এমডি সহ পরিচালক ও কর্মকর্তাদের দূর্নীতির কথা।
জানা যায়, কোম্পানির প্রতিষ্ঠাকালে একক মালিক ছিলেন কোম্পানির এমডির বড় ভাই সানোয়ারুল হক সগীর। পরে সম্পদ ভাগের পর তারা দুই ভাই কোম্পানির মালিক হয়। পরবর্তীতে সম্পূর্ণ কোম্পানি, সম্পদ ও টাকা আত্মসাতের জন্য এমডি, তার স্ত্রী ও এমডি ও সানোয়ারুলের বোন মিলে দূর্নীতি করে তার সবকিছু দখল করে।
সানোয়ারুল হক সগীর ইন্দো-বাংলার এমডি ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, বিএসইসি ও ডিএসইর কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। তবে এখনো কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়নি কোনো প্রতিষ্ঠান।
গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগে সানোয়ারুল জানান, ইন্দো- বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল দীর্ঘদিন যাবৎ অধীনস্থ অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তার সহযােগিতায অনুমোদনহীন এবং মান-বর্হির্ভূত প্রােডাক্ট উৎপাদন ও বাজারজাত এবং অধিদপ্তর ও উচ্চ আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত প্রডাক্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসতেছে। ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল এর বর্তমান পরিচালনাকরী এ,এফ,এম আনােয়ারুল হক (সাব্বির) আপনার অধিপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তাকে মাসিক মাসােহারার বিনিময়ে ম্যানেজ করিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ এইরূপ অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসতেছে। এই সংক্রান্তে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার দপ্তরে অভিযােগ পেশ করা হলেও তাহার বিরুদ্ধে কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই।
গত ১ নভেম্বর ২০২০ তারিখে বিএসইসির কাছে সানোয়ারুল জানান, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অর্ধাংশের মালিক এ,এফ,এম সানােয়ারুল হক (সগার) এর ব্যবসার অংশ এ,এফ,এম আনােয়ারুল হক (সাব্বির) জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কতিপয় নামধারী পরিচালক এর যােগসাজশে আত্মসাৎ করে, প্রতিষ্ঠানটি প্রতারনার মাধ্যমে শেয়ার মার্কেটে তালিকাভুক্ত করে সাধারণ জনগণের টাকা আত্মসাৎ করছে। উক্ত জাল-জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্ধাংশের মালিক এ,এফ,এম সানােয়ারুল হক (সগীর) বাদী হয়ে বরিশাল বিজ্ঞ চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন যাহার নম্বর- ২৭৬/২০২০ (কপি সংযুক্ত) বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পি,বি,আই কে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
গত ৩ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কাছে সানোয়ারুল অভিযোগ জানান যে, বিগত সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং সাল হইতে আনোয়ারুল আমার পরিবারের কতিপয় সদস্যের যােগসাজশে কিছু অবৈধ, বে-আইনী, ভূয়া দলিল ও কাগজপত্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্টি করে উক্ত প্রতিষ্ঠানটিতে একক আধিপত্য বিস্তারের পায়তারা করিয়া আসতেছে এবং আমি অসুস্থ থাকার সুযােগে প্রতিষ্ঠানটি এককভাবে পরিচালনা করতেছে ও সর্বত্র সে একক মালিক বলিয়া প্রচার করিয়া আসতেছে।
এছাড়া অভিযোগে আরও জানানো হয়েছে যে, প্রতিষ্ঠানটির বেশকিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপি ঋণ রয়েছে। যার মালিক হিসেবে সানোয়ারুল এর নাম এবং জামিনদার হিসেবে আনোয়ারুল হকের নামে বিবাদী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যাল শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার সময় যে তথ্য দিয়েছে তার মধ্যে বেশকিছু মিথ্যা তথ্য অভিযোগপত্রে তুলে ধরা হয়েছে, প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত বাের্ড চেয়াম্যান আজিজা ইয়াসমিন এর নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যােগ্যতা সকল কিছু মিথ্যা ও বানােয়াট। সে একজন সাধারন এস.এস.সি পাস, গৃহিনী মহিলা এবং তাহার ও তাহার স্বামীর স্থায়ী ও বর্তমান সকল ঠিকানা বরিশালে । প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.এফ.এম আনােয়ারুল হক(সাব্বির) কেবলমাত্র বি.এ পাস। প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত ৩নং পরিচালক হাফিজা ইয়াসমিন এর ঠিকানা ও শিক্ষাগত যােগ্যতা মিথ্যা ও বানােয়াট, সে একজন এইচ, এস, সি পাস গৃহীনি মহিলা এবং ২০০৭ ইং সাল হইতে স্বামীর সাহিত ডেনমার্কে থাকে। তাহার ও তাহার স্বামীর উভয়ের স্থায়ী ঠিকানা বরিশালে। প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত ৮নং পরিচালক মিজানুর রহমান ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যাল ওয়ার্কস এর একজন সাধারন পিওন। সে কেবলমাত্র অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। বর্তমানে সে উক্ত কোম্পানিতে পিওন হিসাবে কর্মরত আছে। প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস এর সাবেক চেয়াম্যান ও স্পন্সর পরিচালক এ.এফ.এম.আনােয়ারুল হক(সাব্বির) এর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা এর ঠিকানা ও শিক্ষাগত যােগ্যতা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানােয়াট। ইহাছাড়া সে বরিশাল জেলা প্রশাসক এর কার্য্যালয়ের রেভিনিউ শাখার একজন অফিস সহকারী হিসাবে দীর্ঘদীন যাবত কর্মরত আছে। সে একজন বি.এ পাশ মহিলা। একজন সরকারি কর্মচারী কীভাবে একটি কোম্পানীর চেয়ারম্যান ও স্পন্সর পরিচালক হইল তাহা তদন্ত করার জন্য আবেদন জানাইতেছি। প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত ৬নং পরিচালক ফাতেমা পারভীন আয়শা সিদ্দীকার বোন এবং এ.এক.এম আনােয়ারুল হক (সাব্বির) এর শ্যালিকার শিক্ষাগত যােগ্যতা মিথ্যা ও বানােয়াট, সে একজন অশিক্ষিত গৃহিনী মহিলা। ইহা ছাড়া অন্যান্যা পরিচালকগন এ.এফ.এম আনােয়ারুল হক (সাব্বির) এর শ্বশুড়ালয়ের আত্মীয়স্বজন। ইন্দে-বাংলা ফার্মাসিটিক্যাল পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী হিসাবে তালিকাভুক্তির উদ্দেশ্যই হচ্ছে। এ.এফ.এম আনােয়ারুল হক (সাব্বির) তার বােন, স্ত্রী ও শ্বশুড়ালয়ের আত্মীয়স্বজনের যােগসাজশে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে জনগণের টাকা আত্মসাত করা।
এছাড়া কোম্পানির আয়-ব্যয়, ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত, আর্থিক প্রতিবেদনে যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ ও বেআইনি ভুয়া দলিল ও কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করে একক মালিকানাধীন দেখিয়ে প্রসপেক্টাস জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান। এবং কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট নিরীক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তর এর প্রায় ৩০ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির একটি অভিযোগ তদন্তাধীন আছে বলেও জানানো হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ইন্দো-বাংলা ফার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তবে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠিন শাস্তি দিতে হবে। সেই সাথে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির মত যেসব কোম্পানি দূর্নীতি, অনিয়ম ও জালিয়াতি করে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে আসছে তাদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত কঠিন ব্যবস্থা নিতে হবে ও বড় শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যাতে করে তাদের শাস্তি দেখে অন্য কোম্পানিগুলোও ভয় পায়।
এ বিষয়ে কোম্পানির এমডির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। এবং তাকে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও পরবর্তীতে কোন জবাব পাওয়া যায়নি। এদিকে কোম্পানির চেয়ারম্যান আজিজা মোস্তাফিজকে কল করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে কল কেটে দেন। পরে বেশ কয়েক বার তাকে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেন না। এবং তাকেও খুদে বার্তা পাঠানো হলে তিনি কোম্পানি সেক্রেটারির মাধ্যমে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে কোম্পানির সেক্রেটারি মহি উদ্দিন শেয়ারবাজার নিউজকে বলেন, অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। তাই বলে সেটাই যে সত্য এরকম নয়। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী সত্য প্রমাণিত হবে। এবং এ বিষয়ে আদালতেও মামলা চলছে।
প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত বিষয় মিথ্যে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত প্রতিটি বিষয় সত্য। সেখানে কোনো মিথ্যে তথ্য দেয়া হয়নি। পরিচালক হওয়ার বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। এ বিষয়েও তদন্ত চলছে, যদি তদন্তে কোম্পানি কোনো আইন পরিপালন না করে থাকে সে বিষয়ে সত্য জানা যাবে।
প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত চেয়ারম্যান, এমডি ও পরিচালকদের যে তথ্য দেয়া আছে তা সত্য বলে দাবি করেন তিনি। আবার চেয়ারম্যান, এমডি ও পরিচালক হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতার নির্দেশনা নাই বলে তিনি জানান। এতে যদি পরিচালনা পর্ষদের কারো শিক্ষাগত যোগ্যতা কম হয় বা না থাকে তাহলে সমস্যা নাই বলে দাবি করেন।
এবং কোম্পানির প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত ৮নং পরিচালক হিসেবে যে মিজানুর রহমানকে দেখানো হয়েছে তার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিচালক মিজানুর রহমানকে পিয়ন বলে যে অভিযোগ রয়েছে তা মিথ্যে।
এ বিষয়ে কোম্পানির ম্যানেজার মিজানুর রহমান শেয়ারবাজারে নিউজকে জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আমাদের প্রধান অফিস দেখে। আর কোম্পানির চেয়ারম্যান, এমডি ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে এ বিষয়ে কিছু জানা নেই।
এ বিষয়ে কোম্পানির এমডির বড় ভাই ও অভিযোগকারী সগীর হোসেন শেয়ারবাজার নিউজকে জানান, গত সেপ্টেম্বর ২০১৩ হতে আমার পরিবারের কতিপয় সদস্যের যােগসাজশে কিছু অবৈধ, বে-আইনী ও ভূয়া দলিল ও কাগজপত্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্টি করিয়া উক্ত প্রতিষ্ঠানটিতে একক আধিপত্য বিস্তারের পায়তারা করিয়া আসতেছে এবং আমি অসুস্থ থাকার সুযােগে প্রতিষ্ঠানটি এককভাবে পরিচালনা করিতেছে ও সর্বত্র সে একক মালিক বলিয়া প্রচার করিয়া আসতেছে। অথচ যে সকল ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নিকট ঋণগ্রস্থ রয়েছে সেসব জায়গায় মালিক হিসেবে আমার নাম রয়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর ২০১৪ সালে ৮ জন ব্যক্তি উপস্থিত একটি সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে চেয়ারম্যান এমডিকে ১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রদান করবে। কিন্তু চেয়ারম্যান উক্ত টাকা প্রদানের ব্যাপারে আপত্তি করে এবং তৎপর প্রেক্ষিতে পুনরায় সকলে উক্ত টাকার পুনর্বিবেচনার জন্য একত্রিত হয়। উভয়পক্ষের সম্মতিতে চেয়ারম্যান-এমডি কে ৯ কোটি টাকা প্রদান করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভার লিখিত বক্তব্যে টাকা প্রদানের বিষয় ও অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
এছাড়া বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা (নম্বর ২৭৬/২০২০) করেছেন তিনি। আদালত মামলা আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএসইসি সূত্র জানায়, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালকদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছে। কমিশন তা খতিয়ে দেখবে। যদি অভিযোগের সত্যতা পায় কমিশন তাহলে কোম্পানির অভিযুক্ত পরিচালকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি।
প্রসঙ্গত, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস পুঁজিবাজারে ২০১৮ সালে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ১৫ লাখ ৭ হাজার। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে আসছিল। শুধু মাত্র গত বছর (২০২০) বিনিয়োগকারীদের ৪.৫% নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
এদিকে গত ২০ আগস্ট ২০১৫ সালে বদ্যপাড়ার কারখানায় অভিযান চালিয়ে ইন্দোফেনাক-৫০ নামক ওই বড়িগুলো জব্দ করা হয়।
ওই সময় বরিশাল ঔষধ প্রশাসনের পরিদর্শক বীথি রানী মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। যা র্্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্্যাব-৮) উপ-অধিনায়ক এএসপি নিজাম উদ্দিন জানান, কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু ওষুধের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর তালিকা ধরে ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের কারখানায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার আওতায় ডাইক্লোফেনাক-৫০ জাতীয় ওষুধ পাওয়া যায়, যা ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড ইন্দোফেনাক নামে বাজারজাত করছে। কারখানাটি থেকে ৭ লাখ ৬৪ হাজার ১০০টি বড়ি জব্দ করা হয়েছে।