নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে পুঁজিবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে মহাদাপট দেখিয়েছে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি রবি আজিয়াটা। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকায় সপ্তাহের প্রতিটি কার্যদিবসে দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে এই কোম্পানিটির শেয়ার।
এর আগের সপ্তাহেও (২০২০ সালের শেষ সপ্তাহ) শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে মহাদাপট দেখায় রবি। এর ফলে টানা দাম বাড়ার ক্ষেত্রে শেয়ারবাজারের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এই মোবাইল অপারেটর কোম্পানিটি। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর টানা ১০ কার্যদিবস দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে এই রেকর্ড সৃষ্টি করেছে রবি।
নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং আইপিও খরচের জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ার ছেড়ে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করা রবির শেয়ার গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়।
এ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কার্যদিবস। এর প্রতিটি কার্যদিবসেই কোম্পানিটি দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। এর আগে আর কোনো কোম্পানি লেনদেন শুরুর প্রথম ১০ কার্যদিবস টানা দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করতে পারেনি।
লাফিয়ে লাফিয়ে কোম্পানিটির শেয়ারের এমন দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তাও প্রকাশ করেছে ডিএসই। তবে তাতে কোনো কাজ হয়নি। ডিএসই জানিয়েছে, রবির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে ৪ জানুয়ারি কোম্পানিটিকে নোটিশ করা হয়। জবাবে কোম্পানিটি জানিয়েছে- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
গত সপ্তাহের প্রতিটি কার্যদিবসে দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করায় এক সপ্তাহে রবি আজিয়াটার শেয়ার দাম বেড়েছে ৫৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৭ টাকা ৮০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ২৯ টাকা ৮০ পয়সা।
এদিকে দফায় দফায় শেয়ারের দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪১১ কোটি ৮৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮২ কোটি ৩৭ লাখ ৫ হাজার টাকা।
রবির পরই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল জিবিবি পাওয়ার। সপ্তাহজুড়ে এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে এক্টিভ ফাইন। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- বে-লিজিংয়ের ৩৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৩৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ২৭ দশমিক ১৪ শতাংশ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ২৫ দশমিক ৮০ শতাংশ, এস এস স্টিলের ২৩ দশমিক ৯১ শতংশ, সাইফ পাওয়ারের ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং পাওয়ার গ্রীডের ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ দাম বেড়েছে।