বাংলাদেশে ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে যেসব নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন তারা জাতিসংঘের কোন শান্তিরক্ষী মিশনে মনোনীত করা হবে না।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশি কর্মীদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে নিয়োগ সম্পর্কে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা সুনির্দিষ্ট মানবিক বা শরণার্থীর আইন লঙ্ঘনের কোনো সুপারিশ জাতিসংঘের কাছে থাকে না৷
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ শান্তি মিশন বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিশনে নিয়োজিত কোনো বাংলাদেশি কর্মী যাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, মানবিক বা শরণার্থী আইন লঙ্ঘন বা যৌন হয়রানি বা অপব্যবহারের অভিযোগে অভূত না হন, এমন নিশ্চিত করার জন্য একটি কার্যকর ও শক্তিশালী স্বাধীন মানবাধিকার স্ক্রিনিং ব্যবস্থার গড়ে তুলতে পারে বাংলাদেশ সরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও সুশীল সমাজের মতামতের ভিত্তিতে একটি ব্যাপকভিত্তিক স্বাধীন ও ন্যায্য যাচাই অনুসরণের মাধ্যমে পুলিশ, গোয়েন্দা, বিজিবি, আনসার ভিডিপি এবং সশস্ত্র বাহিনীর যেসব কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সেসব কর্মকর্তাদের পদ থেকে অপসারণ করে নিতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শুধু সীমিত সময়ের জন্য অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কাজে নিযুক্ত করা যায়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ বিষয়ে একটি বিশেষ প্রয়োগকারী অধ্যাদেশ পাস করতে হবে।