গত কয়েকদিন সারাদেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে রংপুর বিভাগের প্রধান সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এ অবস্থায় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর চরাঞ্চল এবং কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, আপার করতোয়া, আপার আত্রাই, পুনর্ভবা, টাঙন, ইছামতি, যমুনা ও যমুনেশ্বরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করে এসব জেলার সংশ্লিষ্ট চরাঞ্চল এবং কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
একই সঙ্গে বিগত কয়েকদিনে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি এবং মৌসুমি লঘুচাপজনিত ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর জেলার নদীসমূহেরও পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বন্যাজনিত সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জোনভুক্ত সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।