1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন

অনিয়ম-সংকট সত্ত্বেও ইসলামী ব্যাংকগুলোতে বাড়ছে আমানত

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

দেশের বেশ কয়েকটি শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যাপক কেলেঙ্কারি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তারপরও ইসলামী ব্যাংকিংগুলোতে জুন মাসে আমানতের পরিমাণ বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন মাসে ইসলামী ব্যাংকগুলোতে মোট আমানতের পরিমাণ মে মাসের তুলনায় ১১ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা বা ২.৭১ শতাংশ বেড়ে চার লাখ ৪০ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, এই ব্যাংকগুলো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকিং সূচকেও—ঋণ ও রেমিট্যান্স প্রবাহ—ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। যা ইঙ্গিত করে যে এসব ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ভেঙে যায়নি।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো থেকে বিনিয়োগের জন্য নেওয়া ঋণের পরিমাণ পাঁচ লাখ ১৩ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা আগের মাসের তুলনায় ১.৯১ শতাংশ বেশি।

প্রতিবেদন অনুযায়ি, জুন পর্যন্ত দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ১১৯ কোটি টাকা।

বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংক রয়েছে ১০টি। এ ছাড়া, ইসলামী শাখা এবং ইসলামিক উইন্ডোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচলিত ব্যাংকগুলো শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে।

গ্রাহকের আমানতের হিসাবে দেশের বৃহত্তম শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। এই ব্যাংকটিসহ আরও কয়েকটি ইসলামী ব্যাংক এস আলম গ্রুপের মালিকায় চলে যাওয়ার পর ব্যাপক অনিয়মের কারণে গুরুতর তারল্য সংকটে পরেছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ীক গ্রুপটি এবং তাদের সহযোগীরা ২০১৭ সাল থেকে চলতি বছরের জুনের মধ্যে ছয়টি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার ৭০ শতাংশ এসেছে ইসলামী ব্যাংক থেকে।

তবে অনিয়ম ও সংকটের খবরের মধ্যে জুনে ইসলামী ব্যাংকগুলোর সম্পদও আগের মাসের তুলনায় ৫.১৮ শতাংশ বেড়ে আট লাখ ৫৩ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা হয়েছে।

জুনে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় রপ্তানি আয়ের টাকা আসার পরিমাণ ৪.১৭ শতাংশ কমে সাত হাজার ৭৫১ কোটি টাকা হয়েছে।

একইভাবে আমদানি পরিশোধও ১৭.৫৫ শতাংশ কমে ১১ হাজার ২৩১ কোটি টাকা হয়েছে।

তবে, ইসলামী ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ বেড়েছে। মে মাসে এর পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা, যা জুনে বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা।

ইসলামী ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা, যা মে মাসের তুলনায় ৩.৪৪ শতাংশ বেশি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সূচকের পতনে চলছে লেনদেন

  • ২০ নভেম্বর ২০২৪