দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২৮ কোম্পানির পরিচালকেরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বেধে দেওয়া ৩০ নভেম্বরের সময়ের মধ্যে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনে ব্যর্থ হয়েছে।
তবে কমিশন আগেই ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনে ব্যর্থ কোম্পানির পর্ষদ পূণর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৪৩ কোম্পানির উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ার ধারন ৩০ শতাংশের নিচে ছিল। ওইসব কোম্পানিকে প্রথম দফায় এই শেয়ার ধারনের জন্য ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে আল্টিমেটাম দেয়। তবে তা বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
এই সময়ের মধ্যে শেয়ার ধারন না করলে বিএসইসি সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পর্ষদ পূনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গত ২৫ নভেম্বর।
ওইদিন বিএসইসির ৭৫০তম কমিশন সভায় ৩০ নভেম্বরের মধ্যে যেসকল তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকগণ আইন অনুযায়ী সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হবেন, সে সকল কোম্পানির বোর্ড পূনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত কর্ম-পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়।
এছাড়া পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশের নিচে শেয়ার ধারন করা ৪৩ কোম্পানির মধ্যে ১৫টি বিএসইসির বেধে দেওয়ার সময়ের মধ্যে শর্ত পূরণ করেছে।
সর্বশেষ ৩০ নভেম্বর বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এই শর্ত পূরণ করেছে বলে কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। এর আগে ১৩ কোম্পানি জানায়।
এদিকে ২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধস শুরু হওয়ার পরে তৎকালীন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১১ সালে ২২ নভেম্বর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রত্যেক পরিচালককে ২ শতাংশ ও উদ্যোক্তা/পরিচালকদেরকে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনের নির্দেশনা দেয়। এর বিপক্ষে কয়েকটি কোম্পানির পরিচালকেরা উচ্চ আদালতে মামলাও করেন। তবে রায় কমিশনের পক্ষেই আসে।