শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মিনহাজ আহমেদ পদত্যাগ করেছেন।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। সেদিনই তা গ্রহণ করা হয়। বুধবার তিনি আর অফিস করেননি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
উত্তরা ফাইন্যান্সের ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ঝুঁকিবিষয়ক কর্মকর্তা (সিআরও) ফারজানা সুলতানা রহমানকে।
কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রতিষ্ঠানটিতে থাকা উত্তরা গ্রুপের আমানতের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির ২০২৩ সালভিত্তিক আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় এমডির নানা ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কয়েকজন পরিচালক তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপরইতিনি পদত্যাগেরসিদ্ধান্ত নেন।
সৈয়দ মিনহাজ আহমেদ ২০২২ সালের অক্টোবরে উত্তরা ফাইন্যান্সে এমডি হিসেবে যোগ দেন। ওই বছরের জুনে উত্তরা ফাইন্যান্সের এমডি এস এম শামসুল আরেফিনকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে উত্তরা ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যানকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
উত্তরা ফাইন্যান্স থেকে অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ আত্মসাতে অন্যদের সহায়তা ও আর্থিক প্রতিবেদনে তথ্য গোপনের অভিযোগে শামসুল আরেফিনের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে উঠে আসে, উত্তরা ফাইন্যান্সের ২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে মার্চেন্ট ব্যাংকিং ও শেয়ারবাজারের মার্জিন ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩৫০ কোটি টাকা জমা হয়েছে উত্তরা ফাইন্যান্সের বিভিন্ন পরিচালকের ব্যাংক হিসাবে। কোনো ধরনের আবেদন, প্রস্তাব বা অনুমোদন ছাড়া পরিচালকদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরাসরি টাকা ছাড় করা হয়েছে।
এছাড়া, উত্তরা মোটরস ও উত্তরা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৩৩৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, যার কোনো অনুমোদন নেই। এসব অনিয়মের কারণে প্রতিষ্ঠানটির এমডিকে অপসারণের পাশাপাশি নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।