পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ঘোষিত এ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে ব্যাংকটি।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইস্টার্ন ব্যাংকের সমন্বিত সুদ আয় হয়েছে ৮২৪ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৫৮৯ কোটি টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ১৪৫ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১০৭ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইস্টার্ন ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮৯ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৫১ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন ব্যাংক। এর মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফা বেড়েছে ১৯ শতাংশের বেশি।
তথ্য অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ২৪ পয়সা। সে হিসাবে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৫৭ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ইর্স্টান ব্যাংক। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৭৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ৪৭ পয়সা। এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটি ইপিএস বেড়েছে ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৩ টাকা ৩৩ পয়সায়। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্যও বিনিয়োগকারীদের মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল ইস্টার্ন ব্যাংক। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল ইবিএল। এর মধ্যে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।
২০১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রথমে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছিল ইবিএলের পর্ষদ। যদিও পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে ব্যাংকটি।