শেয়ারবাজারের তারল্য প্রবাহকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করতে কালো টাকাকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগকারীদের সাধারণ ক্ষমাসহ এ সুযোগ দেওয়া হবে। এর ফলে অর্থের উৎস সম্পর্কে সরকারের কোনও সংস্থা প্রশ্নও করবে না।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন নতুন বাজেটে বিনিয়োগকারীদের এ সুযোগ দেওয়া হবে।
এর আগে, ২০২০-২১ অর্থবছরে শেয়ারবাজার, আবাসন, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র ও নগদে টাকা জমার প্রায় সবগুলো খাতে বিনিয়োগে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে সাড়া না পাওয়ায় এ সুযোগ বাতিল করা হয়। পরের বছর দেশ থেকে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া হলেও সে সুযোগও কেউ নেয়নি।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ১১ হাজার ৮৩৯ জন ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বৈধ করে। ওই অর্থবছরে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করে ২ হাজার ৬৪ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছিল এনবিআর।
এর মধ্যে ৭ হাজার ৫৫ জন এনবিআরের অস্থায়ী বিধানের আওতায় ব্যাংকে জমা বা নগদ ১৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা বৈধ করেছেন। বাকি টাকা জমি, ফ্ল্যাট বা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
আলোচ্য অর্থবছরে প্লট বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে এলাকাভেদে নির্দিষ্ট আয়তনের ওপর ভিত্তি করে করের হার নির্ধারণ করে জমি ও ফ্ল্যাট ক্রয়ে অপ্রকাশিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে এই সুযোগ সবচেয়ে বেশি কাজে লাগানো হয়েছে জমাকৃত অর্থের ক্ষেত্রে।
চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ ওই সময়ে তাদের কালো টাকা সাদা করেছেন।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের প্রায় সব সরকারই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য সাড়া না পাওয়ায় এসব উদ্যোগের বেশির ভাগই ব্যর্থ হয়েছে।