1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন

রবি ও গ্রামীণফোনের ৩৭২ কোটি টাকার কর ফাঁকি

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও গ্রামীণফোন লিমিটেড ৩৭২ কোটি টাকা কম আয়কর দিয়েছে।

২০২০-২১ করবর্ষে কোম্পানি দুটি এই কর কম দেওয়ার তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অধীন রাজস্ব অডিট অধিদপ্তরের ২০২৩ সালের বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে।

তবে কর কম দেওয়ার বিষয়ে রবি আজিয়াটা বলেছে, বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবগত নয়। আর গ্রামীণফোন বলেছে, এই ব্যাপারে তারা এখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো বার্তা পায়নি।

জাতীয় রাজস্ব অডিট অধিদপ্তরের ওই নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কর কমিশনার, বৃহৎ করদাতা ইউনিট (আয়কর), ঢাকা কার্যালয়ের ২০২০-২১ করবর্ষে রবি আজিয়াটা ও গ্রামীণফোন প্রভিশনকৃত (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) অর্থসহ অন্যান্য অননুমোদনযোগ্য খরচ আয়ের সঙ্গে যোগ না করে মোট আয়কর নিরূপণ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এতে রবির ৩৬৫ কোটি ২০ লাখ ৫৬ হাজার ৪৫০ টাকা এবং গ্রামীণফোনের ৬ কোটি ৪৩ লাখ ২ হাজার ৯০৪ টাকা কম আয়কর নিরূপণ হয়েছে। এর ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবেদনে এই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি গত ১০ জানুয়ারি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মো. নূরুল ইসলাম। শিগগির প্রতিবেদনটি রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হবে। এরপর তা জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের পর সরকারি হিসাবসম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে যাবে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক সিএজি এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, গুরুতর আর্থিক অনিয়মগুলোই বার্ষিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। এরপর তা সংসদে ওঠে। পরে তা হিসাবসম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, অনেক ক্ষেত্রে কমিটি যথাযথ ভূমিকা পালন করে না। এতে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত অর্থ আদায় হয় না। তিনি এসব অর্থ আদায়ে জোরালো ভূমিকা নিতে তাগিদ দেন।

নিয়ম অনুযায়ী, অডিট আপত্তির জবাব ব্রড শিটে চাওয়া হয়। এরপর জবাবগুলো নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকেও সমাধান না হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে চিঠি চালাচালির মাধ্যমে তা সমাধানের চেষ্টা করা হয়।

কোনোভাবেই আপত্তিগুলোর সন্তোষজনক জবাব ও প্রমাণ না পেলে তা চূড়ান্ত করে বার্ষিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২০-২১ করবর্ষে রবি আজিয়াটার মোট আয় ছিল ৬০ কোটি ৪১ লাখ ৬৫ হাজার ২৩৫ টাকা। এর বাইরে ভবিষ্যতে পরিশোধের আশায় প্রভিশনকৃত অর্থ রাখা হয় ৯৮ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আয়ের সঙ্গে যোগ না করেই আয়কর নির্ধারণ করেছে কোম্পানিটি।

এ ছাড়া ডিলারস কমিশন বাবদ খরচ করার দাবি করা হয়েছে ৭৮৯ কোটি ৫৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এ টাকার ওপর ১০ শতাংশ উৎসে কর কাটার প্রমাণ পায়নি নিরীক্ষা দল। সিকিউরিটি ও ক্লিনিং সেবার বিল ২১ কোটি ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকার ওপর ২ শতাংশ উৎসে কর কাটা হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই করদাতা প্রতিষ্ঠানের আদায়যোগ্য আয়কর ৫১৬ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ৬৫ টাকা। কিন্তু তাদের নিরূপিত আয়কর ১৫০ কোটি ৯৮ লাখ ৮৩ হাজার ৬১৫ টাকা। এতে ৩৬৫ কোটি ২০ লাখ ৫৬ হাজার ৪৫০ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

নিরীক্ষা প্রতিবেদন বলছে, ২০২০-২১ করবর্ষে গ্রামীণফোনের আয় দেখানো হয় ৬ হাজার ৬৫০ কোটি ৫ লাখ ৩ হাজার ৯৬৫ টাকা। তবে অ্যাসেট রিটায়ারমেন্ট অবলিগেশন (এআরও) খাতে ৮১ লাখ ১৬ হাজার টাকা রাখা হয়েছিল, যা মূল আয়ের সঙ্গে যোগ করেনি গ্রামীণফোন।

এ ছাড়া পণ্য বিতরণ বা বিপণন বাবদ কমিশন, ছাড়, ফি ও প্রণোদনা ভাতা খাতে কম কর কর্তন করা হয়েছে ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৪১ হাজার ২৬০ টাকা। এআরও খাতের অর্থ এবং কর কম কর্তন করায় গ্রামীণফোনের ৬ কোটি ৪৩ লাখ ২ হাজার ৯০৪ টাকা আয়কর কম দেখানো হয়েছে। এ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

কমলো সোনার দাম

  • ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • সূচকের পতনে চলছে লেনদেন

  • ২৪ নভেম্বর ২০২৪